চিলমারীতে চলাচলের ব্রিজ যখন মরণ ফাঁদ

সেতু ভেঙ্গে দুর্ভোগে প্রধান কারন সাথে জীবনের ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে চিলমারী ও সুন্দরগঞ্জ বাসীর। শুধু দুর্ভোগের কারন নয় মরদ ফাঁদ সেতুতে উঠতে কাজে লাগাতে হয়েছে বাঁশের সাকো। দুর্ভোগে উপর দুর্ভোগ বেড়েই চলছে।

মাসের পর মাস বছরের পর বছর দুর্ভোগ আর ঝুঁকি নিয়ে পাড়াপাড় হচ্ছে চিলমারীর পাত্রখাতা, ব্যাপারীপাড়া, মাদারীপাড়া, কারেন্টবাজার, ডাংগারচর, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা বেশকিছু গ্রামের মানুষসহ বিভিন্ন এলাকার হাজারো মানুষ। বছরে পর বছর পেড়িয়ে গেলেও নজর নেই কর্তৃপক্ষের। এদিকে বর্ষা মৌসুম আর পানি বাড়ার সাথে সাথে যেকোন মুহুত্বে উপজেলা সদরের সাথে বেশকিছু এলাকার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবেও বলে জানান এলাকাবাসী।

জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারীর পাত্রখাতা ব্যাপারী পাড়া এলাকায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু/কালভার্ট নির্মান প্রকল্পের অধিনে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে সেতুটি নির্মান করা হয় চিলমারী, সুন্দরগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকাবাসীর সুবিধার্থে। ৪০ ফিট এই সেতুটির নির্মান ব্যয় ধরা হয় ৩০ লাখ ৯০ হাজার টাকা (প্রায় ৩১ লাখ)। লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়ের সেই সেতুটি এখন গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে এলাকাবাসীর।

এলাকাবাসী জানান, নির্মানের কিছুদিন পর বন্যার পানির তোড়ে সেতুটির একদিকে ডেবে যায় বন্ধ হয়ে যায় চলাচল। যদিও বন্যার পর সামান্য মাটি দিয়ে দায়সারা কাজ করেন কর্তৃপক্ষ। সঠিক পরিকল্পনা না থাকায় এর কিছুদিন পর ব্রীজের অপর দিক ভেঙ্গে হেলে যায় আবারো ধসে যায় মাটি।

পরবর্তিতে এলাকাবাসীর সহযোগীতায় একদিকে মাটি ভরাট অপরদিকে বাঁশের সাকো তৈরি করে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে এবং যানবাহন সেতুর নিচ দিয়ে চলাচল করছে। কিন্তু বর্ষা শুরু হওয়ায় এলাকাবাসীর দুঃচিন্তার সাথে সাথে বাড়ছে দুর্ভোগ আবার ইতি মধ্যে এলাকাবাসীর উদ্যোগে তৈরি করা বাঁশের সাকোটিও অকেজো হয়ে পড়েছে।

দ্রুত সময়ের মধ্যে চলাচলের জন্য সড়ক নির্মান বা নতুন ভাবে সেতু নির্মান করা না হয় হাজারো মানুষজনের চলাচল বন্ধ বা যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটবে এবং বন্যায় বেশকিছু বাড়িঘর ভেসে যাওয়ার সাথে সাথে ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। কথা হলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মোহাম্মদ কোহিনুর রহমান বলেন সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে এলাকাবাসীর সুবিধার্থে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।

বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমানের সাথে (সরকারী নাম্বার) মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলে তিনি ফোন রিসিব করেননি। পরে জেলা প্রশাসক মোঃ রেজাউল করিম এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন বিষয়টি নিয়ে ইউএনও সাহেবের সাথে কথা বলতে বলেন।