পাইকগাছায় ১৮ দিন অবরুদ্ধ ৩ পরিবার: মুক্ত হবে কবে

অবরুদ্ধের ১৮তম দিন পার হলো ৩ পরিবারের, মুক্ত হতে আর কত দিন লাগবে। কৃষ্ণ বিশ্বাস, বিষ্ণু বিশ্বাস ও জগদিশ বিশ্বাসের প্রতিপক্ষ মহিতোষ বিশ্বাস, মাধবী বিশ্বাস অবৈধভাবে উঠানের উপর দিয়ে পথ দাবি করে ব্যর্থ হয়ে, কৃষ্ণ ও বিষ্ণু বিশ্বাসদের বৈধ পথ বন্ধ করেছে। অবৈধভাবে পথ বন্ধ রাখার ঘটনাটি নিয়ে পাইকগাছায় ব্যপক আলোচনা ও সমালোচনা চলছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও অনেকেই ব্যক্তিগত মতামত উপস্থাপনা করছেন। এ্যাড. এফএমএ রাজ্জাক তার ফেসবুকে ওয়ালে যে স্ট্যাটাস দিয়েছেন তার কিছু অংশ হুবহু তুলে ধরা হলো। পাইকগাছার মালোপাড়ার পথদাবী ও বন্ধ করা কোনটা অবৈধ-বৈধ আর বুঝতে প্রশাসনের আর কতদিন লাগবে? সরজমিনে দেখা গেছে, কয়েক মাস ধরে এই দু’পক্ষের মধ্যে অবৈধ ও বৈধ পাল্টাপাল্টি দাবি নিয়ে বিরোধ জিডি, মামলা-হামলা অব্যাহত। সর্বশেষ গত ইংরেজি ৬ এপ্রিল ২১ তারিখ অবৈধভাবে কৃষ্ণ – বিষ্ণুদের বৈধ পথ বন্ধ করে দেয়। শুরু থেকে সমস্যাটি সমাধান হওয়া দরকার ছিল। কারন দুপক্ষই এক ধর্মের মানুষ ও পাশাপাশি বসবাস। নেপথ্যে একজন ঐ ধর্মের ধর্মীয় নেতা।

যিনি বহু ঘটন অঘটনের হোতা। তিনি চেয়েছিলেন ও চাচ্ছেন একজনের উঠান দিয়ে অন্যজনের পথ,কেউ কী তাই দেয়? ঐ’টুকু ভিটা বাড়ি ছাড়া তাদের অন্য কোন জমি-জমা নেয়। তাই তারা নাছোড় বান্দা। সেজন্য বিতর্কিত ঐ নেতা থানার ওসি কে ম্যানেজ করে দেয় মিথ্যা চুরির মামলা। আর ঐ মামলায় নিরিহ লোক একজনকে পুলিশ ধৃত করে জেল হাজতে দিয়ে ওসি তার অবস্থান বিতর্কিত করেছেন। সেখানকার সত্য মামলার বিপরীতে পুলিশ নিচ্ছে এক-একটা মিথ্যা মামলা।

আমি আইনজীবী, মক্কেলের সার্থে মক্কেলের পক্ষে তার কথা উপস্থাপন করি সর্বত্র। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা অন্যকোন প্রসাশন বা বিচারক যদি নিরপেক্ষ না থেকে বিতর্কিত ব্যাক্তির কথায় নড়ে চড়ে বসেন, কাজ করেন তখন ন্যায় বিচার কঠিন হয়ে পড়ে। সেজন্য কথায় আছে বিচারের বানী নিরবে নিভৃতে কাঁদে। সর্বশেষ গত ইংরেজি ১৩/০৪/২১ তারিখে মানবিক পাইকগাছার ইউএনও, ওসি, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এরপর অতিবাহিত হয়েছে অনেকদিন।

তবে অবৈধভাবে অবরুদ্ধ কৃষ্ণ – বিষ্ণুদের বাড়ী যাতায়াতের বৈধ পথটি এখনো বন্ধ থাকে কী ভাবে? ভাবতে অবাক লাগে আমাদের কী কোনটা সত্য – মিথ্যা বা বৈধ – অবৈধ বিবেচনা করার বা সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় কী কারো নেই ? অবরুদ্ধ কৃষ্ণ-বিষ্ণু পরিবার শান্তিপূর্ণ ও স্বাভাবিক ভাবে জীবন যাপন করতে পারে সে জন্য স্থানীয় প্রশাসনসহ পুলিশের উদ্ধোতন কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছেন। এলাকার সচেতন মহলেরও দাবী মালোর পাড়ার এই ঘটনাটি অতি সত্বর নিষ্পত্তি হোক। তা না হলে বড় কোন দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।

এপ্রিল ২২, ২০২১ at ২৩:৪৪:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এএইস/এমআরএইস