পাইকগাছায় নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ ১১ টি পরিবারের দখলীয় চরভরাটি জমি জবর দখলের অভিযোগ

কপোতাক্ষ নদের ভয়াবহ ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ পাইকগাছার রাড়–লীর ১১ টি ভুমিহীন পরিবারের দখলে থাকা সরকারি চরভরাটি জমি দখল প্রচেষ্টার অভিযোগে ভুমিহীন পরিবারের পক্ষে থানায় জিডি হয়েছে। ঘটনায় থানা ওসি রাড়ুলী ক্যাম্প পুলিশকে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশনা দিয়েছেন।

পাইকগাছার রাড়ুলীর মৃত জিতেন্দ্রনাথ দাশের ছেলে মিলন দাশ জানান, কপোতাক্ষ নদের দীর্ঘ দিনের ভয়াবহ ভাঙ্গনে উপজেলার রাড়ুলীর জেলে পল্লীর বাসিন্দাদের পাশাপাশি আশপাশের বহু মানুষ বসত-বাড়ি, জায়গা-জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন। এক পর্যায়ে স্থানীয় প্রসাশনের সহায়তায় নদীর অপরপ্রান্তে জেগে ওঠা চরে রেকর্ডীয় ও বন্দোবস্তকৃত ১৮ বিঘা জমিতে তাদের ১১ টি পরিবার ধান-মাছ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন।

ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ সাত্তার সানা ও আবু হেনা গাজীর অভিযোগ, পূর্বের একসনা বন্দোবস্ত প্রাপ্তির কথা বলে রাড়ুলীর বাসিন্দা মেঘাই মোড়লের ছেলে বারিক ও শাহাজান মোড়ল পেশী শক্তিবলে পার্শ্ববর্তী তালা উপজেলার লোকজনদের নিয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারী তাদের দখলীয় মৎস্য ঘেরে আকষ্মিক বাঁধ দিয়ে অবৈধভাবে দখল চেষ্টা করলে তা প্রতিহত করেন বলে দাবি করেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বারিক-শাহজানরা বিভিন্ন মামলায় দীর্ঘদিন পর জেল থেকে মুক্তি পেযে এলাকায় ফিরে চরভরাটি জমি দখল চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ হলে পাইকগাছা-কয়রার সংসদ সদস্য মোঃ আকতারুজ্জামান বাবু বিষয়টির শান্তিপুর্ন সমাধানের জন্য থানার ওসিকে নির্দেশনা দেন। এর পরিপেক্ষিতে পুলিশ বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন।

ঘটনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই শহীদ জানান, দু’থানার সীমানা জটিলতায় চরভরাটি এ জমির বিরোধে দু’পক্ষকে নিয়ে তিনি উপজেলা ভূমি অফিসে যান। কাগজপত্র পর্যালোচনা করে এসিল্যান্ড দু’পক্ষকে স্ব-স্ব অবস্থানে থাকার নির্দেশনা দেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষের এ নির্দেশনা উপেক্ষা করে বারিক মোড়লরা ফের ঐ জমি দখলের হুমকি দিলে গত ৬ এপ্রিল মিলন দাশ বারিক ও শাহজাহান মোড়লের বিরুদ্ধে থানায় একটি জিডি হয়। যার নং-২৯৭।

ঘটনায় ইন্সপেক্টর তদন্ত মোঃ আশরাফুল আলম রাড়ুলী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জকে বিষয়টির তদন্তপূর্বক প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছেন।

এপ্রিল ০৮, ২০২১ at ১৯:১৮:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএনএস/এমআরএইস