চিতলমারীতে ভোটাদের কাছে ছুটছেন সাম্ভব্য প্রার্থীরা, চাইছেন আশির্বাদ

আগামী ১১ এপ্রিল বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষণা অনুযায়ী প্রথম ধাপে এখানের ৭ টির মধ্যে ৫ টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে সাম্ভব্য প্রার্থীদের প্রচরণা ততই বাড়ছে। ভোটারদের ভাষ্যমতে, এবার মাঠে ময়দানের চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেই প্রচার বেশী। সাম্ভব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের বেশীর ভাগই চেয়ে আছেন দলীয় প্রতীকের দিকে। তারপরেও বসে নেই নবীন ও নতুন প্রার্থীরা। তারা ভোটের আশায় ছুটে বেড়াচ্ছেন গ্রামে গ্রামে-বাড়িতে বাড়িতে। চাইছেন দোয়া ও আশির্বাদ। এ উপজেলায় এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোন দলের প্রার্থীদের নির্বাচনী আলোচনা বা প্রচরনায় দেখা যায়নি। এই মুহুর্তে এ উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে দলীয় প্রতীক নৌকা পেতে সাম্ভব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে যারা প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছেন তারা হলেন-

১ নং বড়বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদঃ বর্তমান চেয়ারম্যান সরদার মাসুদ, সাবেক চেয়ারম্যান ওয়াহিদুজ্জামান পান্না, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি গাউসুল হক, সৈয়দ জান্নাত আলী ও এম এ খসরু আহম্মেদ উকিল। ৩ নং হিজলা ইউনিয়ন পরিষদঃ বর্তমান চেয়ারম্যান কাজী আজমীর আলী, মেহেদী হাসান সবুজ মুন্সি, জগদীশ চন্দ্র বাড়ৈ ও কাজী আবু শাহীন। ৪ নং শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদঃ বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান কাকা মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক শেখ শামিম আনোয়ার বাবু ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ রিয়াজুল ইসলাম রিয়াদ মুন্সি।

৫ নং চিতলমারী সদর ইউনিয়ন পরিষদঃ বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ নিজাম উদ্দিন শেখ, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক শেখ কেরামত আলী, আওয়ামী লীগ নেতা রজত শুভ্র রায় ও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সদস্য মোঃ রবিউল ইসলাম খান রবি। ৬নং চরবানিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদঃ বর্তমান চেয়ারম্যান অর্চণা বড়াল ঝর্না, সাবেক চেয়ারম্যান মুকুল কৃষ্ণ মন্ডল, চরবানিয়ারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রফুল্ল কুমার মন্ডল, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ সদস্য শান্তনু রানা রুবেল ও মিলন কান্তি বাড়ৈ। এছাড়াও ৫ টি ইউনিয়নে অনেকে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে পারেন।

এ ব্যাপারে সাম্ভব্য অনেক চেয়ারম্যান প্রার্থী বলেন, শুধু মাত্র দলীয় প্রতীক নৌকা পেলেই নির্বাচন করব। দলের বাইরে কোন সিদ্ধান্ত নয়। তবে চিতলমারী উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ আব্দুল মজিদ জানান, সর্বশেষ ২০১৬ সালের ২২ মার্চ চিতলমারী উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এখানে আগামী ১১ এপ্রিল ২নং কলাতলা ও ৭নং সন্তোষপুর বাদে ৫টি ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উপর মহলের নির্দেশে নির্বাচনী প্রক্রিয়া চলমান। এ উপজেলায় ৭টি ইউনিয়নে ৬৩ টি ওয়ার্ড রয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে কেন্দ্র। যার বুথ সংখ্যা ৩০২টি। মোট ভোটার এক লাখ নয় হাজার ১৭৭ জন। এদেরমধ্যে ৫৬ হাজার ৭৫ জন পুরুষ, ৫৩ হাজার ১০১ নারী ও তৃতীয় লিংঙ্গের একজন ভোটার রয়েছে। তফশীল ঘোষণার আগ পর্যন্ত ভোটার সংখ্যা বাড়বে।

ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২১ at১৭:৩৩:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএসএম/এমআরএইস