গাইবান্ধা পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পূর্ব কোমরনই ভোট কেন্দ্রে পুলিশ জনতার সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আইন শঙ্খলা বাহিনীর গাড়িতে আগুন এবং ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের হামলাসহ বেপরোয়া কর্মকান্ডের প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার ডিবি রোডে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে গাইবান্ধার রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃৃতিক সংগঠনসমূহ এবং ভুক্তভোগী শতাধিক নারী পুরুষ অংশ নেয়।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় পলিটব্যুরো সদস্য আমিনুল ইসলাম গোলাপ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলা সভাপতি মিহির ঘোষ,গণফোরাম জেলা সভাপতি ময়নুল ইসলাম রাজা, ওয়াকার্স পার্টির জেলা সভাপতি প্রণব চৌধুরী খোকন, জাসদ জেলা সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক জনি, বাসদ পাঠচক্র ফোরামের নেতা মনজুর আলম মিঠু, কমিউনিস্ট পার্টির জেলা সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল, উদীচী জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক ও আমরা ৯০এর যোদ্ধার আহ্বায়ক মাহমুদুল গনি রিজন, গাইবান্ধা সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর কবির তনু, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ জেলা সাধারণ সম্পাদক রিক্তু প্রসাদ,নারী মুক্তি কেন্দ্রের আহ্বায়ক রোকেয়া খাতুন, ওয়াকার্স পার্টি (মার্কসবাদী) নেতা মৃণাল কান্তি বর্মন এবং ভূক্তভোগী জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি পৌরসভার চেয়ারম্যান মরহুম মোহাম্মদ খালেদ এর মেয়ে খালেদা আকতার রিটা, ওই এলাকার ক্ষুদ্র দোকানী সাহেজান বেগম প্রমুখ।
বক্তারা এসময় বলেন, গত ১৬ জানুয়ারি গাইবান্ধা পৌরসভার নির্বাচনের দিন পূর্ব কোমরনই পুলিশের গাড়িতে আগুন দেয়ার সাথে জড়িতদের অবশ্যই আমরা শাস্তির দাবি জানাই। কিন্তু পরবর্তীতে পুলিশ ও র্যাব আগুন দেয়ার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে গণহারে গাইবান্ধার বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মরহুম গাইবান্ধা পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খালেদের বাড়িসহ ওই এলাকায় প্রায় ১০টি বাড়িতে যে হামলা ভাংচুর চালিয়েছে এবং বাড়ির ঘরের ভিতরের ঢুকে মোটর সাইকেল, টিভি, ফার্নিচার ভাংচুর করে তা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। ওই এলাকার মানুষ এখনও আতংকে রয়েছে। আমরা মনে করি এই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া উচিৎ ও দোষী পুলিশ ও র্যাবের বিচার দাবি জানাই।
ভুক্তভোগী মোহাম্মদ খালেদের মেয়ে রিটা বলেন, কি অপরাধ করেছিলাম আমরা, আমার ভাই জয় কাউন্সিলর প্রার্থী ছিল, বাড়িতে পুলিশ, র্যাব ঢুকে তাকে বেদম প্রহার করেছে, সেইসাথে আমাদের বাড়ির টিভি, ফার্নিচার ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। আমার বাবা সারাজীবন রাজনীতি করেছেন এই কি তার পাওনা। এসময় তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। আমরা আমাদের পরিবার সেইসাথে ভুক্তভোগী সব পরিবারের পক্ষ থেকে এই ঘটনার বিচার দাবি করছি।
জানুয়ারী, ২৮, ২০২১ at ১৭:৫২:২৫ (GMT+06)
দেশদর্পণ/এসকেবি/এমআরএইস
