গোবিন্দগঞ্জে ভ্যান চালক হত্যাকান্ডের ঘটনায়, গ্রেফতার ৩

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ভ্যান চালক হামিদুল ইসলাম হত্যাকান্ডের মূল আসামিসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে রংপুর র‌্যাব-১৩। বুধবার বিকেলে র‌্যাব-১৩ এর কোম্পানি অধিনায়ক লেঃ কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

র‌্যাব-১৩ রংপুর এর কোম্পানি অধিনায়ক লেঃ কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন লিখিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গত ২৪ জানুয়ারি রাত ৯টা থেকে ২৫ জানুয়ারি সকাল ৭ টার মধ্যে যে কোন সময় গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাখাল বরুজ মিয়াপাড়া গ্রামের মোঃ রিপন মিয়ার একটি ডোবায় কচুরিপানার ভেতর থেকে ভ্যানচালক হামিদুল ইসলাম (৩৬) এর লাশ উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ।

হামিদুল গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পুনতাইড় সিংজানী গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে। চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারিত হয়। গণমাধ্যমে সংবাদটি প্রচার হওয়ার পর র‌্যাব এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করে। রংপুর-১৩ গাইবান্ধা (সিপিসি-৩) ক্যাম্পের একটি অভিযানিক দল গোবিন্দগঞ্জ থানার ভ্যান চালক হত্যার মামলার তথ্য উদঘাটন ও আসামি শনাক্তকরণের উদ্দেশ্যে গোবিন্দগঞ্জে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভিকটিমের ভ্যানের সূত্র ধরে তদন্তের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ২৫ ও ২৬ জানুয়ারি দু’দিন অভিযান পরিচালনায় ভিকটিমের ভ্যানটি শনাক্ত এবং উদ্ধার পূর্বক মূল আসামীসহ ঘটনার সাথে জড়িত আরও দু’জনকে গ্রেফতার করে।

আলামতসহ প্রধান আসামী গ্রেফতারের পর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও তথ্য জানা যায় যে, মুল আসামি গত ২৪ জানুয়ারী গভীর রাতে মহিমাগঞ্জ থেকে ঘুমের ওষুধ ক্লোরণ ও বিষাক্ত নেশা জাতীয় পদার্থ দিয়ে ভ্যান চালক আব্দুল হামিদকে বিস্কুটের মাধ্যমে খাওয়ায়ে অচেতন করে হত্যা করে পাশের ডোবায় ফেলে দেয়। এরপর মুল আসামি ওই ভ্যানটি নিয়ে ২নং আসামি সুন্দরগঞ্জের পূর্ব চন্ডিপুুর মৃত গোলে হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩২) এর কাছে ১৬ হাজার টাকায় বিক্রি করে এবং ওই হত্যাকান্ডে জড়িত থাকায় ৩নং আসামি একই এলাকার মৃত আশরাফ ব্যাপারীর ছেলে হাসিফুল (২৭) কে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত আসামি সাইদুর রহমানকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করায় ওই দুই আসামির নাম ঠিকানা প্রকাশ করে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেফতারকৃত আসামিদেরকে গোবিন্দগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

জানুয়ারী, ২৭, ২০২১ at ১৯:৫৪:২৫ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসকেবি/এমআরএইস