পুলিশ সুপারের মধ্যস্থতায় নুরনাহার বেগম ফিরে পেল তার সুখের সংসার

নুরনাহার বেগম (৩২), পিতা: মৃত আক্কাস আলী, গ্রাম: যদুপুর, থানা: দর্শনা, জেলা; চুয়াডাঙ্গা এর সাথে অনুমান ১৪ বছর পূর্বে মিন্টু মিয়া (৩৫), পিতা: মৃত চৈতের, সাং: আন্দুলবাড়ীয়া, থানা: জীবননগর, জেলা: চুয়াডাঙ্গা এর ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক বিবাহ হয়। তাদের সংসার জীবনে ১। হোসেন (১১) ২। সাইদ (০৯) ও ৩। জিসান (০১) নামের ফুটফুটে তিনটি সন্তান রয়েছে।

বিয়ের পর হতে বিভিন্ন সময়ে মিন্টু মিয়া পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন এবং তার স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। নির্যাতনের মাত্রা এতটাই বেশি ছিল যে, তার স্ত্রী কয়েকবার আত্নহত্যার চেষ্টা চালায়। এরই মধ্যে মিন্টু মিয়া পিতৃহীনা নুরনাহারকে তালাক দিয়ে তার মায়ের বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয় এবং পরকীয়া প্রেমিকার সাথে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ব্যতীত দ্বিতীয় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। প্রথম স্ত্রী নুরনাহার ও তার সন্তানদের খোজ খবর নেওয়া ও ভরণ পোষন দেওয়া বন্ধ করে দেয়।

সংসারে চলমান বিরোধ এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, গত ০৭.০১.২০২১ খ্রিঃ তারিখে মোছাঃ নুরনাহার বেগম (৩২), পিতা: মৃত আক্কাস আলী, গ্রাম: যদুপুর, থানা: দর্শনা, জেলা: চুয়াডাঙ্গা তার অসহায়ত থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য মান্যবর পুলিশ সুপার চুয়াডাঙ্গার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা মহোদয় উক্ত অভিযোগটির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তার কার্যালয়ে অবস্থিত “উইমেন সাপোর্ট সেন্টার” এর দায়িত্ব প্রাপ্ত এএসআই (নিরস্ত্র) মিতা রানী কে দায়িত্ব দেন। “উইমেন সাপোর্ট সেন্টার” এর দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা উভয় পক্ষকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির করেন। পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা জনাব মোঃ জাহিদুল ইসলাম এর প্রত্যক্ষ মধ্যস্থতায় মিন্টু ময়িা তার স্ত্রী মোছাঃ নুরনাহার বেগম কে পুনরায় নিজ বাড়ীতে ফিরিয়ে নিয়ে সংসার করতে ও সন্তানদের ভরণ পোষন দিতে সম্মত হয়। ফলে পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা জনাব মোঃ জাহিদুল ইসলাম এর হস্তক্ষেপে মোছাঃ নুরনাহার বেগম ফিরে পেল তার সুখের সংসার।

জানুয়ারী, ১৭, ২০২১ at ১৯:৪১:২৫ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমটিআর/এমএমআর