সুনামগঞ্জের কাইয়ারগাওঁ গ্রামে রাস্তার পাশে গাছে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যানার ফেস্টুন লাগানোর অপরাধে যুব-মহিলালীগের নেত্রীর বাড়িঘরসহ ৫টি নিরীহ পরিবারে লোকজনের বাড়িঘরে হামলা, নারীপূরুষসহ ৪জনকে পিঠিয়ে গুরুত্বর আহত করাসহ ভাংচুর ও লুটপাঠের ঘটনাটি ঘটেছে। আহতরা হলেন কাইয়ারগাওঁ গ্রামের মৃত চানঁ মিয়ার ছেলে মো.হুরা মিয়া(৭০) ,মেয়ে সাবিকুন নাহার(২৫), হুরা মিয়ার স্ত্রী জায়েদা খাতুন (৬০)ও ছেলে আব্দুস শহীদ। এদের মধ্যে হুরা মিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং অন্যান্যদেরকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১০ টায় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের কাইয়ারগাঁও গ্রামের এ হামলার ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,কাইয়ারগাওঁ গ্রামের চিহ্নিত ভূমিখেকো সন্ত্রাসীদের নেতৃত্বে ৬০-৫০জনের একটি ভূমিখেকো চক্র দাড়াঁলো অস্ত্র চাইনিজ কুড়াল,রামদা,লোহার রড়,বল্লম নিয়ে একই গ্রামের নিরীহ হুরা মিয়ার বাড়িতে তার ছেলে মোঃ ফরিদ মিয়া,আব্দুস শহীদ,অহিদ মিয়া,সাদেক মিয়া,আব্দুস শহীদের স্ত্রী সদর উপজেলা যুব মহিলালীগের সহ সভাপতিসহ ৫টি পরিবারের বাড়িঘরে অর্তকিতে হামলা চালিয়ে নারীপূরুষসহ ৪ জনকে পিঠিয়ে আহত করে।এ সময় হামলাকারীরা হুরা মিয়ার বসতঘরে প্রবেশ করে ড্রয়ার ভেঙ্গে ব্যবসার নগদ ১০ লাখ টাকা স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ২০লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা যুব মহিলীগের সহসভাপতি নুরজাহান বেগম জানান,আজকের ঘটনার মূল কারণটি হলো আমাদের বাড়ির রাস্তার পাশে কেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত ব্যানার ফেস্টুন লাগালাম। এজন্য বাড়িঘরে হামলার পূর্বেই রাস্তার পাশে লাগানো বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ফেস্টুন দাড়ালো অঁস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছে। পরে বাড়িঘরে এসে ঘরের টিনসেটের ভেড়ায় ভাংচুর ও লুটপাঠ করে। তিনি প্রধানমস্ত্রী শেখ হাসিনা ও পুলিশ সুপারের নিকট হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি প্রদানের পাশাপাশি জানমালের নিরাপত্তা বিধানের দাবী জানান। এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহিদুর রহমান জানান,খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য ২০২০ সালের ২৬ শে অক্টোবর উক্ত ভূমিখেকো চক্রটি হুরা মিয়ার বাড়িটি জোরপূর্বক দখলের অংশ হিসেবে একই কায়দায় দাড়াঁলো অস্ত্র নিয়ে তাদেরবাড়িঘরে হামলা চালিয়ে নারীপূরুষসহ ৮জনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে নগদ টাকা পয়সা স্বর্ণালংকারসহ আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ফরিদ মিয়া বাদি হয়ে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করার পর সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর পুলিশ একজন আসামীকে গ্রেপ্তার করলে ও বাকি আসামীরা প্রকাশ্যে দিবালোকে ঘুরে বেড়ালে ও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার না করায় পূনরায় ঐ চক্রটি আবারো তৃতীয়বারের মতো হামলার ঘটনাটি ঘটায়। বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্থ পরিাবরের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় আছেন বলে জানান তারা।
জানুয়ারী, ১৬, ২০২১ at১২:৪২:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/জেএডি/এমআরএইস
