অভিভাবক যখন পুলিশ সুপার

বাংলাদেশ পুলিশ পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকার সামাজিক, মানবিক ও উৎসাহমূলক কার্যক্রমে ভূমিকা রেখে চলেছেন। তারই অংশ হিসেবে মানবিক পুলিশ সুপার খ্যাত মোঃ জাহিদুল ইসলাম সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে একের পর এক গণমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করছেন। চুয়াডাঙ্গা জেলার সাধারন মানুষের মুখে মুখে এখন পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গার জনকল্যানমূলক কার্যক্রমের সংবাদ ধ্বনিত হচ্ছে। অসহায়, দরিদ্র, প্রতিবন্ধীসহ সর্বস্তরের সাধারন জনগণ প্রতিদিনই পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে তাদের নিজের কিছু কথা একান্তে বলার জন্য ছুটে আসেন। শারীরিক প্রতিবন্ধী মোঃ হারুন বিশ্বাস (৫২) আজ এসেছিলেন নিজের দৈন্যতার কথা পুলিশ সুপারের কাছে বলার জন্য।

মোঃ হারুন বিশ্বাস (৫২), পিতা-সামসুল বিশ্বাস, মাতা-মোছাঃ কহিনুর বেগম, সাং-সুমিরদিয়া (বলাকাপাড়া), ২নং ওয়ার্ড, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রী ছিলেন। দরিদ্র হারুন সামান্য আয় রোজগারে কোন মতে সংসার চালাতেন। কিন্তু হঠাৎ পক্ষাঘাতগ্রস্থ হয়ে পড়ায় মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। কর্মক্ষম হারুন হয়ে পড়েন শারীরিক প্রতিবন্ধী। অর্থনৈতিক দৈন্যতা তাকে চরমভাবে অসহায় করে তুললেও ভিক্ষাবৃত্তিতে তার মন কোন দিন সায় দেয়নি। নিজের কোন পুঁজি ছিলনা যা দিয়ে সে কোন ব্যবসা করতে পারে। পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা তার মমত্ববোধ থেকে পাশে দাঁড়ালেন শারীরিক প্রতিবন্ধী হারুনের। প্রদান করলেন শীতের কম্বল, চশমা, গেঞ্জি, ঔষধ এবং কিছুটা স্বাবলম্বী করতে তার হাতে দিলেন নগদ টাকা ও ০৫ কেজি চীনা বাদাম। এখন থেকে সে বাদাম বিক্রি করে কিছু অর্থ উপার্জনের সুযোগ পাবে।

পুলিশ সুপার চুয়াডাঙ্গা বলেন, সমাজের সর্বস্তরের সামর্থ্যবান মানুষ যদি অসহায় সুবিধা বঞ্চিতদের দিকে একটু সুদৃষ্টি দেয়, তাহলে আমাদের সমাজে অসহায় মানুষের মুখেও হাসি ফোঁটানো সম্ভব। এসময়ে তিনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাসহ সকল বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলাবাসীর সহযোগীতা কামনা করেন।

জানুয়ারী, ০৫, ২০২১ at ১৬:৫৮:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমটিআর/এমআরএইস