পাইকগাছায় উদ্ধার হলো সড়কের কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি

পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকীর সাহসী পদক্ষেপে সড়কের কোটি কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি উদ্ধার হওয়ার পাশাপাশি যানজট নিরসন হচ্ছে জিরোপয়েন্ট এলাকার। চলমান উচ্ছেদের অংশ হিসাবে শনিবার দিনভর সার্ভেয়ারের মাধ্যমে মাপ দিয়ে সড়কের জায়গা নির্ধারণ পূর্বক লাল পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয় এবং একই সাথে সব ধরণের অবৈধ্ভাবে নির্মিত অবকাঠামো স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন ইউএনও খালিদ হোসেন। উল্লেখ্য, সড়ক ও জনপথ বিভাগের পৌর সদরের জিরোপয়েন্ট এলাকা থেকে শিববাটী ব্রীজ পর্যন্ত প্রধান সড়কটি ১১০ ফুট এলাকা জুড়ে অধিগ্রহণ করা হয়। অধিগ্রহণকৃত জায়গার মধ্য থেকে ১৮ ফুট পিচের রাস্তা নির্মাণ করা হয়।

সড়কের দু‘পাশের অবশিষ্ট জায়গায় দোকানপাট সহ বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে উঠলে বেদখল হয়ে যায়। এর ফলে একদিকে সড়ক ও জনপথ বিভাগ তাদের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি অবৈধ দখলদারদের অনুকূলে চলে যায়। অপরদিকে সড়কের দু‘পাশে স্থাপনা গড়ে উঠায় জনগুরুত্বপূর্ণ জিরোপয়েন্ট এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। অবশেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে সাহসী পদক্ষেপ নেন।

গত কিছুদিন আগে প্রশাসনের এ কর্মকর্তা সড়কের দু’পাশের টোঙ দোকান সহ বিভিন্ন স্থাপনা উচ্ছেদ করলেও বড় বড় অবকাঠামো রয়ে যায়। সর্বশেষ চলমান উচ্ছেদের অংশ হিসাবে সড়কের সার্ভেয়ারের মাধ্যমে মাপ দিয়ে সড়কের জায়গা নির্ধারণ করে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়। একই সাথে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্য সকল স্থাপনা ও অবকাঠামো সরিয়ে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের কঠোর নির্দেশনা দেন ইউএনও খালিদ হোসেন সিদ্দিকী।

দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর ইউএনও’র হস্তক্ষেপে উদ্ধার হলো সড়কের বেদখলকৃত কোটি কোটি টাকার সরকারি সম্পদ। একই সাথে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হওয়ায় সড়কের ওপর থেকে পার্কিং করা গণপরিবহন সরিয়ে নিয়েছে বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিকরা। এর ফলে জনগুরুত্বপূর্ণ জিরো পয়েন্ট এলাকার যানজট অনেকাংশে নিরসন হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের এ কাজে সহযোগিতা করেছেন আরেক সাহসী কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম, সড়কের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম ও সার্ভেয়ার মিজানুর রহমান সহ বাস শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।

ডিসেম্বর, ২৬, ২০২০ at ২১:৩৪:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/আইএইস/এমআরএইস