পাইকগাছায় হলুদের বাম্পার ফলন

প্রাকৃতিক দূর্যোগে প্রতিকূলতা কাটিয়ে পাইকগাছায় হলুদের আবাদ ভালো হয়েছে। হলুদ ক্ষেতে সার কীটনাশক ছিটানোসহ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১২০ হেক্টর জমিতে হলুদের আবাদ হয়েছে। উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টি ইউনিয়ন গদাইপুর, হরিঢালী, কপিলমুনি ও রাড়ুলীতে হলুদ চাষের উপযুক্ত জমি রয়েছে।

এসব ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে উঁচু জমি ও হালকা ছায়াযুক্ত জমিতে হলুদের বীজ রোপন চলছে। হলুদ চাষের জন্য উঁচু জমি ও হালকা ছায়াযুক্ত জায়গায় হলুদ চাষ ভাল হয়। বৈশাখ থেকে আষাঢ় মাস পর্যন্ত হলুদের বীজ বপন করা হয়। হলুদের সাথে সাথী ফসল হিসেবে ওল ও আলুর বীজ রোপন করা যায়।

উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের হিতামপুর, মেলেকপুরাইকাটী, তোকিয়া, গোপালপুর, মঠবাটী ও গদাইপুর, কপিলমুনি ইউনিয়নের সলুয়া গ্রামে হলুদের আবাদ হচ্ছে। হলুদ চাষ করার জন্য জমি উত্তমরূপে চাষ করতে হয়। এরপর মই দিয়ে মাটি সমান করে দুই পাশের মাটি উঁচু করে হয়। এই উঁচু মাটির মধ্যে হলুদের বীজ রোপন করা হয়। উঁচু মাটির পাশে হালকা নালামত তৈরী হয়। বৃষ্টি হলে ওই নালা দিয়ে পানি বের হয়ে যায়। এতে হলুদের বীজ নষ্ট হয় না।

হিতামপুর গ্রামের হলুদ চাষী সবুর হোসেন জানান, তিনি প্রতিবছর হলুদ চাষ করেন। এ বছরও প্রায় দুই বিঘা জমিতে হলুদের বীজ রোপন করেছেন। তিনি জানান, হলুদ চাষের জন্য এ বছরে ঘুর্ণিঝড় আম্ফানের কারণে পানি জমে থাকায় হলুদের ক্ষেত তৈরী করতে কিছুটা দেরি হয়েছে। তবে নানা রকম পরিচর্যার পরে হলুদের আবাদ ভালো হবে বলে তিনি জানান।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, হলুদ একটি লাভ জনক ফসল। হলুদের সাথে সাথী ফসল হিসাবে ওল ও আলুর বীজ রোপন করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। হলুদ চাষীদের কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন ধরণের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে প্রভাবে হলুদের আবাদে কিছুটা প্রভাব প্রড়েছে। তবে এখন আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে হলুদের আবাদ ভাল হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

১৫ নভেম্বর, ২০২০ at ১৯:৫৯:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/আইএইচ/এমএআর