পটল ও পেয়ারা ক্ষেত কাটার পর পুকুরে বিষটোপ দিয়ে মাছ নিধন

আগে কেটেছে পটল ক্ষেত। এরপর বিনষ্ট করেছিল ২৮০ টি পেয়ারার চারা। সর্বশেষ শুক্রবার দিবাগত মধ্য রাতে পুকুরে বিষ ট্যাবলেট দিয়ে নিধন করল প্রায় ৬০ হাজার টাকার মাছ।

রাতের আধারে একের পর এক দূর্বৃত্তদের হাতে ফসল কর্তন ও মৎস নিধনের ঘটনায় উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল কাদের এখন প্রায় সর্বশান্ত।

এ ঘটনায় সে শনিবার সকালে সন্দেহভাজন ৬ জনের নাম উল্লেখ করে কালীগঞ্জ থানাতে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

উল্লেখ্য, প্রায় ৫ মাস আগে দূর্বূত্তরা কাদেরের ১০ কাটা ধরন্ত পটলের ক্ষেত কর্তন ও ৩ মাস আগে ২৮০ টি পেয়ারা গাছের চারা কেটে বিনষ্ট করেছিল। এমনিভাবে কালীগঞ্জে রাতের আধারে গ্রামের মাঠে মাঠে সবজি ফসল ও মৎস নিধনের ঘটনা ঘটেই চলেছে।

এ পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে প্রায় ২০/২৫ টি সবজি ক্ষেত কর্তন ও মৎস পুকুরে মাছ বিনষ্টের ঘটনা ঘটেছে। থানা পুলিশের ভাষ্য, গ্রাম্য সামাজিক বিরোধের জেরেই প্রতিনিয়ত এমন জঘন্যতম ঘটনাগুলি ঘটছে।

ক্ষতিগ্রস্থ মৎসচাষী উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামের সরোয়ার মেম্বরের পুত্র আব্দুল কাদের দায়েরকৃত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, তার বাড়ীর পাশেই একটি মৎস পুকুর আছে। শনিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখতে পান পুকুরে মাছ মরে ভাসছে।

প্রতিপক্ষরা শত্রুতামুলক রাতের আধারে তার পুকুরে বিষটোপ দিয়ে প্রায় ৬০ হাজার টাকার মাছ নিধন করেছে। ক্ষতিগ্রস্থ কাদের ধারনা, সামাজিক বিরোধের জের ধরেই তাদের প্রতিপক্ষ একই গ্রামের আলম, কুদ্দুস, শহিদ, আয়ুব, সোলাইমান ও আশরাফুল গং পুকুরে বিষটোপ দিয়ে মাছ নিধনের কাজে জড়িত থাকতে পারে। এরই প্রেক্ষিতে ওই ৬ জনের নাম উল্লেখ করে তিনি কালীগঞ্জ থানাতে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। কাদের আরো জানায়, ইতিপূর্বে প্রতিপ্ক্ষ ওই গং তার পটলের ক্ষেত ও পেয়ারা বাগান বিনষ্ট করেছিল। এবং তারা আমার পরিবারেরও ক্ষতি করার চেষ্টা করছে।

কালীগঞ্জ থানার দায়েরকৃত এজাহারের তদন্ত কর্মকর্তা এস আই সৈয়দ আলী জানান, পুকুরে বিষ টোপ দিয়ে মাছ নিধনের সত্যতা পেয়েছেন। কে বা কারা শত্রুতামুলক রাতের আধারে তার ক্ষতি করেছে। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচাজর্ (ওসি) মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, ওই এলাকায় দুটি গ্রুপের বিরোধের জের ধরেই এমন ঘটনা ঘটছে। পুলিশ মুল রহস্য উন্মোচন করে শিঘ্রই ব্যাবস্থা নিবেন বলেও জানান তিনি।

৩১ অক্টোবার, ২০২০ at ২০:০৮:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/বিএইচ/এমএআর