প্রশাসনের নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে স্কুলের পাশে লাইসেন্স বিহীন স’মিল

পাইকগাছায় প্রশাসনের নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে লাইসেন্স বিহীন স’মিল পরিচালনা করছেন শিক্ষক জি এম শওকত হোসেন। ইতিপূর্বে তার লাইসেন্স বিহীন স’মিলে অভিযান চলিয়ে মোবাইল কোর্টে দুই হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং স’মিলের কার্যক্রম বন্দ রাখার নির্দেশ প্রদান করেন। তবে তিনি উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনাকে তোয়াক্কা না করে স’মিল চালাতে থাকায় এলাকার সচেতন মহলের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলার নতুন বাজারের মেইন সড়কের পাশে ও স্কুল থেকে ৫০ মিটারের মধ্যে জি এম শওকত হোসেনের লাইসেন্স বিহীন সমিল অবস্থিত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ২০০ মিটারের মধ্যে করাতকলসহ যে কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করার বিধি নিষেধ থাকলেও তা তিনি মানছেন না। তিনি স্থানীয় শহিদ জিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। লাইসেন্স বিহীন স’মিলটি তার ও সেতারা বেগমের নামে। তিনি একজন শিক্ষক হয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে নিয়ম নিতি উপেক্ষা করে স’মিল পরিচালনা করায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি চিত্তরঞ্জন ঘোষ বলেন, দুইটি সমিলের করাতের আওয়াজে কমলমতি শিশুদের পড়াশুনায় মনযোগ ব্যাহত হচ্ছে ও মেইন রাস্তার দুপাশ জুড়ে কাটের গুড়ি ফেলে রাখায় ছাত্র-ছাত্রীদের দূর্ঘটনার ঝুকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। স্কুল ম্যানেজিং কতৃপক্ষ কাট ব্যাবসায়ীদের কে কাঠ সরাতে বললেও তারা কোন গুরুত্ব দেয়না। এ বিষয়টি শিক্ষা অফিসারকে জানানো হয়েছে। করোনার কারণে এখন স্কুল ছুটি রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৩ সেপ্টেম্বর লাইসেন্স বিহীন করাত কল পরিচালনা করার জন্য ও রাস্তার পাশে অবৈধভাবে কাঠ রাখায় নতুন বাজরে সৌগত ঘোষের স’মিলে লাইসেন্স নবায়ন না থাকায় ৫ হাজার টাকা এবং শওকত হোসেন (সেতারা বেগম) কে ২ হাজার টাকা করা হয়। মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী। এ সময়ে সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউশন অফিসার ও বন কর্মকর্তা প্রেমানন্দ রায়, পেশকার দিপংকর প্রসাদ মল্লিক, এএসআই তরিকুল ইসলামসহ সঙ্গীয় ফোর্স। এ বিষয়ে স’মিল এর মালিক জি এম শওকত হোসেন বলেন, আমি ইউএনও সাহেব ও বন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে এসেছি। স’মিলের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছি এখন তদন্ত হয়নি। এ বিষয়ে বন কর্মকর্তা প্রেমানন্দ রায় বলেন, স’মিলের বিষয়ে তার সাথে আমার কোন কথা হয়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দীকী বলেন, প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী যাদের লাইসেন্স পাওয়ার সুযোগ রয়েছে তাদের স’মিল চালানোর সুযোগ দেওয়া হবে। আর যাদের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী লাইসেন্স পাওয়ার সুযোগ নেই সে সব স’মিলের স্থাপনা অপসারণসহ কঠোর আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

১৩ অক্টোবার, ২০২০ at ১৭:৩২:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/আইএইচ/এমএএস