পাইকগাছায় ১৩৮টি মন্ডপে শারদীয়া দূর্গোৎসব উদযাপিত হবে

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গোৎসবের আগমনীর সুর মহালয়া থেকে শুরু হয়েছে। তবে এ বছর মহালয়ার ৩৫ দিন পর শুরু হবে দূর্গাপূজা। “শারদীয়া” উৎসব হলেও এবার তা হবে “হৈমন্তিক”। ১৭ সেপ্টেম্বর মহালয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর দেবীর বোধন, অর্থাৎ মহাষষ্ঠী ২২ অক্টোবর। পুরহিতদের দাবী আশ্বিন মাসে দুটি অমাবস্যা পড়ায় মল/মলিন মাস হয়ে যাবে আশ্বিন।তাই এই সমস্যা।

তাই এ বছর পূজা শরতে নয়, হেমন্তে। শারদীয়া উৎসবও তাই হবে হৈমন্তিকা। দূর্গাপুজা উপলক্ষে পাইকগাছার পূজা মন্ডপগুলিতে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। এ বছর পাইকগাছা উপজেলায় ১৩৮টি মন্ডপে শারদীয়া দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। মন্দির গুলিতে প্রতিমা তৈরীর কারিগররা দিনরাত কাজ করছে। প্রতিমা তৈরীতে মাটির কাজ প্রায় শেষ হয়েছে, কোথাও কোথাও রঙের কাজ চলছে।

জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় ১৩৮টি মন্দির ও মন্ডপে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। তার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়নে ১৩৮টি মন্দির ও মন্ডপে প্রতিমা তৈরীর কাজ চলছে। এরমধ্যে পৌরসভা ৬টি, হরিঢালী ২০টি, কপিলমুনি ১৭টি, লতা ১১টি, দেলুটি ১৩টি, সোলাদানা ১১টি, লস্কর ১৬টি, গদাইপুর ৪টি, রাড়–লী ১৭ টি, চাঁদখালী ১২টি ও গড়ইখালী ইউনিয়নে ১১টি পূজা মন্ডপে পূজার প্রস্তুতি চলছে।

আগামী ২১ অক্টোবর পঞ্চমীর মধ্যদিয়ে দূর্গাদেবীর বোধন অনুষ্ঠনের মধ্যদিয়ে পূজা শুরু হবে। ২৬ অক্টোবর বিজয়াদশমী পূজার মধ্যদিয়ে শারদীয়া দূর্গাপুজা শেষ হবে। এ ব্যাপারে পাইকগাছা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সমীরণ কুমার সাধু জানান, করোনার কারনে স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারী বিধি নিষেধ মেনে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পূজার প্রস্তুতি চলছে।

পূজা মন্দির কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকদের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। তাছাড়া সকল পূজা মন্দিরে সভাপতি ও সম্পাদক নিয়ে মতবিনিময় সভার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

শারদীয়া দূর্গা উৎসব সু-শৃংঙ্খল ও আনন্দ ঘ্রাণ পরিবেশে পূজা উদযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিশ্ব জননী পূজায় বাঙালি হিন্দুর হৃদয়কে প্রসারিত করে। দূর্গা পূজা ধর্ম-বর্ণের মানুষ ও সকল দেশের মানুষকে আপন করে নিতে শিখিয়ে উৎসবকে সর্বজনীন উৎসবে পরিণত করে।

০৩ অক্টোবার, ২০২০ at ১৮:৪২:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/আইএইচ/এমএএস