খাদ্য সহায়তা নিয়ে দোকানিদের পাশে ক্রিকেটার মুশফিক

ব্যক্তি মুশফিকুর রহিম কেবল একজন ভালো খেলোয়াড়ই নন, ভালো ছাত্র এবং ভাল মনের মানুষও বটে। লাল সবুজের দেশ সেরা এই ব্যাটসম্যান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে এখন এম. ফিল করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের লম্বা সময়টিতে ক্যাম্পাসের অনেকেই তার আপন হয়ে উঠেছিলেন। সহপাঠি, সিনিয়র, জুনিয়র ছাড়াও হল ডাইনিং, হলের বাইরের দোকানিরাও। তাদের কথা ভুলেননি মুশফিক।

তাইতো কোনো এক মাধ্যমে যখন তিনি জানতে পারলেন, তার এই আপন মানুষগুলো করোনাকালে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ভালো নেই। এমন অবস্থায় তিনি হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারেননি। প্রিয় ক্যাম্পাসের প্রায় ১৬০ ক্ষুদে দোকানির হাতে তুলে দিলেন ১৫ দিনের খাবার।

রোববার (২১ জুন) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. এটিএম আতিকুর রহমানের সার্বিক তত্বাবধানে এই ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

এসময় দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে মুশফিকুর রহিমের মানবতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি দায়বদ্ধতার প্রশংসা করেন তিনি। সেই সঙ্গে মুশফিকুর রহিমের আরও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ, সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন অধ্যাপক ড. এটিএম আতিকুর রহমান।

যেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সমন্বয়কারী দেবব্রত পাল ও আব্দুল্লাহিল মামুন নিলয়সহ আরও অনেকে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বিতরণ করা এই খাদ্য সহায়তার প্রতি প্যাকেটে ১৫ কেজি চালের সঙ্গে ডাল, তেল, লবণ, পেঁয়াজ, রসুন, আলু ও সাবান ছিল।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস এদেশে প্রাদুর্ভাব ছড়ানোর শুরু থেকেই একের পর এক প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়ে হাজির হয়েছেন মুশফিকুর রহিম। সহানুভূতিশীল মনোভাব নিয়ে দাঁড়িয়েছেন অসহায় ও অসচ্ছলদের পাশে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার আরও একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিলেন লাল সবুজের এই দেশ সেরা ব্যাটসম্যান।

করোনাকালে অসহায়দের জন্য মুশির সহায়তার মিশন শুরু হয়েছিল গত মার্চে। দিয়ে দিয়েছিলেন নিজের বেতনের অর্ধেক। এরপর নিজ জেলা বগুড়া মেডিকেল কলেজের স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পাঠিয়েছেন ২শ পিপিই ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার। তার আগে স্থানীয় কাউন্সিলরের মারফত অসহায়দর মধ্যে দিয়েছেন আর্থিক সহায়তা। এখানেই শেষ নয়, ক্রিকেট বোর্ডের ৩০ নেট বোলারও তার সহযোগিতা পেয়েছেন। এখানেই শেষ নয়, লাল বাংলাদেশ হুইলচেয়ার ক্রিকেটের সদস্যরাও মুশফিকের সহযোগিতার আওতায় এসেছেন।