রাজশাহীতে দোকানপাট বন্ধ ও চলাচলে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন

রাজশাহীতে সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে প্রশাসন। এতে বন্ধ হয়ে গেছে নগরীর সব মার্কেট। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ফুটপাত থেকে ব্যবসায়ীদের। কড়াকড়ি করা হচ্ছে রিকশা-অটোরিকশায় মানুষের চলাচলে। এমন অবস্থায় প্রশাসনের জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে অকারণে বাড়ি থেকে বের হওয়া মানুষগুলোকে।

তবে কৃষিপণ্য, কাঁচাবাজার, ওষুধ, জরুরি সেবা ও খাবারের দোকান খোলা ছিলো। এতে স্বস্তি ফিরেছে নগরবাসীদের মনে।

তারা বলছেন, গত কয়েকদিন মার্কেট-দোকানপাট খোলার কারণে শহরে করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেড়ে গিয়েছিল। কেননা তখন মার্কেটে সামাজিক দূরত্বের কিছুই মানা হচ্ছিল না। গায়ের সঙ্গে গা লাগিয়ে ঈদের কেনাকটায় মেতেছিলেন অনেকে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসনের এমন ভূমিকা প্রত্যাশা করছেন তারা।

আরো পড়ুন :
লালপুরে অসহায়দের খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন উপজেলা চেয়ারম্যান ইসাহাক
গাইবান্ধায় নগদ অর্থ সহায়তা কর্মসূচির তালিকা প্রকাশের দাবি সিপিবির
বাড়ি বাড়ি সবজির বীজ ও চারা নিয়ে চৌগাছা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ

জানা গেছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমন রোধে মার্কেট-দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু গত ১০ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খোলার পক্ষে কিছু ব্যবসায়ী অবস্থান নেই। তারা সাবেহবাজার এলাকায় বিক্ষোভ করেছে।

এ অবস্থায় সোমবার বিকালে জেলা আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভায় খাবার ও কাঁচাবাজার ছাড়া রাজশাহীর সব দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর মঙ্গলবার সকাল থেকেই মাঠে নামেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। সাথে পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরাও নামেন মাঠে।

নির্দেশনা অমান্য করে ঈদের আগে দোকানপাট খোলা রাখায় অভিযান চালাচ্ছেন প্রশাসন। মঙ্গলবার সকাল থেকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত আমান আজিজ এ অভিযান চালান। এসময় আরডিএ মার্কেটের রাজ্জাক বস্ত্রবিতানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন তিনি। এছাড়াও অন্যান্য দোকানগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয় এবং বন্ধ করে দেওয়া হয়।

জানা যায়, নির্দেশনা অমান্য করে মঙ্গল সকাল থেকেই আরডিএ মার্কেট সম্পূর্ণ রুপে খোলা রেখে বেচা-কেনা শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। এতে লোকসমাগম বেশি পরিমাণে থাকায় জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত আমান আজিজ আরডিএ মার্কেটের ভিতরে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এসময় সমস্ত দোকানপাট বন্ধ করে দেন। দোকান কর্মচারী-মালিকদেরকে নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করার জন্য নির্দেশ দেন।

প্রাথমিক সতর্কতা হিসেবে এ নির্দেশ প্রদান করেন। তবে আরডিএ মার্কেটের ভিতরে আব্দুর রাজ্জাক বস্ত্র বিতানের শাটার অর্ধেক খোলা রেখে গোপনে বেচা বিক্রি করায় ও সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখার কারণে দোকান মালিক রুহুল আমিনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রনী খাতুন জানান, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত না করার অপরাধে ‘রাজ্জাক বস্ত্রালয়’ নামের একটি কাপড়ের দোকানকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। প্রথমিক ভাবে সকল দোকানীদের সতর্ক করা হয়েছে। তবে এর ব্যতিক্রম হলে আরো কঠোর অবস্থানে যাবে প্রশাসন।

মে ১৯, ২০২০ at ১৭:২০:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমআর/এএডি