মো. ইমাউল হক, পিপিএম, পুলিশ পরিদর্শক নিরস্ত্র
ইন্টেলিজেন্স এন্ড মিডিয়া সেল, ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, কক্সবাজার।
হাওয়া খেলে পেট ভরে? ভরে না। কিন্তু খাদ্য খেলে পেট ভরে খাদ্যের সঠিক পরিপাক ক্রিয়া শরীরে কাজে লাগানোর জন্য হাওয়া খাওয়া দরকার। সারা পৃথিবীতে শ্বাসতন্ত্র, শ্বাসযন্ত্রের করোনা রোগের কারণে লকডাউন ঘোষণা। অর্থাৎ শ্বাসযন্ত্র কে বাঁচানোর জন্য মানুষের সংস্পর্শ হতে দূরে থাকতে হবে। কিন্তু খাদ্যনালীর খাবারের হাহাকার ঠেকাতে না পেরে মানুষ খাবারের সন্ধানে, হাটে, মাঠে, ঘাটে বাজারে।
নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে গেলে মানুষ মারা যায়। নিঃশ্বাসের যন্ত্র আর তন্ত্র যাই বলি সেটাকে ঠিক রাখতে খাবারের মাধ্যমে শক্তির প্রয়োজন। খাবার না খেলে খাদ্যনালীর হাহাকার এবং শ্বাস তন্ত্র যন্ত্র শক্তির অভাবে নষ্ট হয়ে যাবে।সে দিক দিয়ে বিবেচনা করে মানুষ খাবার গ্রহণের জন্য বাইরে বেরোনো কে প্রাধান্য দিচ্ছে।
কোন পক্ষে থাকবো শ্বাসনালী দেখব না খাদ্যনালীর চাহিদা দেখব। গতানুগতিক এর বাইরে কোনো মানুষই সে যত সিভিলাইজড হোক না কেন সেটা গ্রহণ করে না। পৃথিবীর কোন দেশের সরকার হয়তো বাড়িতে বাড়িতে পুলিশ দিয়ে খাবার পাঠাচ্ছে না। কিন্তু আমাদের দেশে সেগুলোর সদ্ব্যবহার হচ্ছে কিনা তা তারাই জানে।
কবে কাজী নজরুল ইসলাম শ্যামা সংগীত রচনার করার পরেও ইসলামী গজল রচনা করে খ্যাতি অর্জন করেছেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ বাংলা সাহিত্যে নোবেল পেয়েছেন। সেখান থেকে আমরা কিন্তু খাবার গ্রহণকে অতিক্রম দিতে পারছিনা।
সে ক্ষেত্রে আমাদের কে কার কথা শুনব। প্রশ্ন হচ্ছে চাল-ডালের হাটবাজারে অক্সিজেন পাওয়া যাচ্ছে না। খাদ্য খেয়ে ঘুরে বেড়াবো। সেটা কয়দিন। খাবার খেলে তার থেকে শ্বাসযন্ত্রের অক্সিজেন তৈরি করতে হয়।
খাবারের চাহিদার জন্য হাউমাউ করে পেট ভরলে কোপাইতে কোপাইতে শ্বাসযন্ত্র স্তিমিত হয়ে যাচ্ছে।
শ্বাসযন্ত্রের করুন করা যায় খাবার নালীর হাহাকারে।
লেখক :