১২ দিনে ৫টি খুন, আটক হচ্ছে না আসামিরা

ঝিনাইদহের শৈলকূপায় সামাজিক বিরোধে ১২ দিনের ব্যবধানে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ ৫ খুনের ঘটনা ঘটলেও আসামিরা আটক হচ্ছে না। এ নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এসব খুন সংঘটিত হওয়া গ্রামগুলোতে মামলা ও ফের হামলার আশঙ্কায় একটি পক্ষের বাড়িঘর পুরুষ শূন্য হয়ে গেছে। বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ জানান, সংঘাতের ইন্ধনদাতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে এবং অপরাধীর বিচার না হওয়ায় এসব অপরাধ অব্যাহত আছে। গত ২৯ এপ্রিল উপজেলার শেখপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে কুষ্টিয়া রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র আরাফাত প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে খুন হন। এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। হাকিমপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে ৩ মে তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে খুন হন দবির উদ্দিনের ছেলে মুদি দোকানি জোয়াদ আলী। তার স্ত্রী চায়না খাতুন জানান, মামলার করার পরও আসামিরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে।

আরো পড়ুন :
দেশে ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে মঙ্গলবার রাতে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’
মঙ্গলবার থেকে যশোরে ফের বন্ধ হচ্ছে দোকান ও মার্কেট
অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করলেন আনিসুল

১২ দিনের ব্যবধানে গত ১১ মে সোমবার জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে। প্রতিপক্ষের অস্ত্রের আঘাতে খুন হন ঝিনাইদহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শেষ বর্ষের ছাত্র কাচেরকোল ইউনিয়নের ধুলিয়াপাড়া গ্রামের লোকমান মন্ডলের ছেলে অভি ও মনজের মন্ডলের ছেলে লাল্টু মন্ডল। দীর্ঘদিন ধরে খাঁ এবং মন্ডল গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ চলে আসার শেষ পরিণতি দুইটি তরতাজা প্রাণ। ঘটনার দিন পুলিশ গ্রামটিতে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েক ব্যক্তিকে আটক করে। কিন্তু মুল আসামীরা ধরাছোয়ার বাইরে। এদিকে আজ ১৭ মে রবিবার বিকালে ভাতিজার হাতে চাচা খুন হয়েছে ।

এ বিষয়ে কথা বলতে শৈলকুপা থানার ওসি বজলুর রহমানকে সরকারী মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেন নি। তবে শৈলকূপা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম বলেন, এসব ঘটনার সঙ্গে সার্বিক আইন শৃঙ্খলার কোনো সম্পর্ক নেই। কয়েকদিনে তারা উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছেন। কিছু আসামী ধরা আছে। বাকী আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মে ১৭, ২০২০ at ২০:৩৮:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/কেএল/এএডি