প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্তের খবরে তোলপাড় জীবননগর উপজেলা

দেশে ক্রমবর্ধমান হারে বেড়েই চলেছে নতুন করে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা। যার থেকে বাদ পড়ছে না চুয়াডাঙ্গা জেলা। বিগত কিছুদিন ৩২ এ থেমে থাকলেও হঠাৎ করেই দু-তিন দিনের মাথায় সেটা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৫১ তে। শুক্রবার চুয়াডাঙ্গায় নতুন করে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে যার মধ্যে সদরে ৭ জন ও জীবননগরে ১ জন এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান এমন তথ্য দিয়ে চুয়াডাঙ্গার অনেক সাধারণ মানুষ এবং সিনিয়র সাংবাদিকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেন।

গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পোস্ট দেখে জীবননগরে ১ জন করোনা রোগী শনাক্তের খবর অনেকেই ফেইসবুকে স্ট্যটাস দেন। আর মুহূর্তের মধ্যেই সেটা জীবননগরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করে। কিন্তু জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কারো নমুনা সংগ্রহ করেনি এমন তথ্য নিশ্চিত করার পরে মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। তাহলে কি আবারো কেউ সবুজ অটোর সত্ত্বাধিকারী তারেকের মায়ের মতো করে নিজেরাই পরীক্ষা করালো? কারণ তখন ও বলা হয়েছিলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কারো নমুনা সংগ্রহ করেনি। সেটা পরবর্তীতে ঢাকা থেকে পরীক্ষা করানোর পর নেগেটিভ আসার পর করোনা মুক্ত হয় জীবননগর। মুহূর্তের মধ্যেই শুরু হয়ে যায় খোঁজ নেওয়া।

পরবর্তীতে জানা যায়, শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিটি জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন পুরুষ স্টাফ যিনি সদর হাসপাতালে সংযুক্তিতে আছেন। এছাড়া তিনি জীবননগর উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা ও নন। তার বাড়ি দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা গ্রামে।

তার কিছুক্ষণ পরেই জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিরাজুল ইসলাম ফেইসবুকে পোস্ট দিয়ে উপজেলাবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে তার কাছে ফোন দিয়ে তারপর নিশ্চিত হতে বলেন।

তবে অনেকেই বলছেন খাতা কলমে কিন্তু জীবননগরের নাম ঘোষণা হয়েছে সে জীবননগরের বাসিন্দা হোক বা না হোক। শনাক্তের সংখ্যায় জীবননগরে ১ জনকে দেখানো হয়েছে।

শনাক্তের তালিকায় জীবননগরের নাম না আসলে এমন বিভ্রন্তি সৃষ্টি হতোনা। যে মানুষটা জীবননগরেই থাকছেন না বা স্থায়ী বাসিন্দা ও নয় তার নামে জীবননগর কিভাবে আসলো?

তাছাড়া জীবননগর এখনো পর্যন্ত করোনা মুক্ত উপজেলা হিসবে থাকার কারণে জীবননগরের কারো থেকে তার করোনা হওয়ার সম্ভবনা না থাকার পরেও জীবননগরের নাম আসার কারণে বিভ্রান্তি হতেই পারে।

তবে এ বিষয়ে আরো ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পাশাপাশি স্থায়ী ও বর্তমান অবস্থানের ঠিকানা প্রকাশ করার পক্ষেই অনেকে মত দিয়েছেন। কারণ জীবননগরে চাকুরী করলেও ঠিকানাটা যদি দামুড়হুদা বা সদর এলাকার হতো তাহলে এত বিভ্রান্তি হতোনা।

জেলার ৪টি উপজেলার মধ্যে এখনো পর্যন্ত করোনা মুক্ত রয়েছে জীবননগর উপজেলা। বাইরে থেকে যদি কেউ করোনা নিয়ে এই উপজেলায় প্রবেশ না করে তাহলে অনেকটা রেহাই পাবে এই উপজেলার মানুষ।

এজন্য জীবননগরের স্থায়ী বাসিন্দা নয় বা এই মুহূর্তে জীবননগর উপজেলায় বসবাস করছেন না এমন ব্যক্তির নামের সাথে জীবননগর ঠিকানা ব্যবহার না করাই উত্তম বলে মনে করেন উপজেলাবাসী।

মে ১৬, ২০২০ at ১০:৫৬:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/টিআর/এএডি