চৌগাাছায় প্রায় দু’মাস পর পশুহাট চালু, করোনার ভয়ে ক্রেতা বিক্রেতার উপস্থিতি কম

যশোরের চৌগাছায় প্রায় দুই মাস পর আবারও শুরু হয়েছে চৌগাছার ঐতিহ্যবাহি পশুহাট। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরাকারের নির্দেশে বন্ধ হয়ে যায় এই পশুহাট। বুধবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে হাটের কার্যক্রম শুরু হলেও ক্রেতা বিক্রেতার উপস্থিতি ছিল একেবারেই কম। করোনাভাইরাসের আতংকে মানুষ হাটে উপস্থিত হয়নি বলে অনেকে মনে করছেন। তবে দু’এক হাট গেলেই পরিস্থিতি পুনরায় আগের মত হবে বলে মনে করছেন হাট কর্তৃপক্ষ।

আরো পড়ুন :
কেশবপুরে জেলা পরিষদের উদ্যোগে খাদ্যসামগ্রী প্রদান
করোনা প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন এমপি টগর
রাণীনগরে ইজারাকৃত পুকুরে জবর দখল করে মাছ ধরার অভিযোগ

করোনা আতংকে সারা দেশের মত স্থবির হয়ে পড়ে সীমান্তবর্তী উপজেলা যশোরের চৌগাছা। সময়ের সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে করোনা রোগী। এমন এক পরিস্থিতিতে প্রশাসনের পক্ষ হতে উপজেলা জুড়ে লকডাউন ঘোষনা করা হয়। বন্ধ হয়ে যায় সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, হাটবাজার। এই তালিকা থেকে বাদ যাইনি চৌগাছার ঐতিহ্যবাহি পশুহাট। গত ১০ মে থেকে স্বল্প পরিসরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সব কিছু সরকার থেকে খোলার নির্দেশ পেয়ে পশুহাট কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের হাট চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। সে অনুযায়ী বুধবার সাপ্তাহিক হাট বসানো হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে হাটে ক্রেতা বিক্রেতা এমনকি পশুর উপস্থিতি ছিল খুবই কম। স্থানীয় গুটি কয়েক পশু বিক্রেতা ও ক্রেতা দেখা গেলেও দূরের কোন ক্রেতা বিক্রেতার দেখা এদিনও মেলেনি। অল্প সংখ্যক পশু হাটে উপস্থিত হলেও তা বেচা কেনা একেবারেই কম হয়েছে বলে জানা গেছে।

এই হাটে পুড়াপাড়ার দাউদ হোসেন একটি গাভী বিক্রি করতে এসেছিলেন। কিন্তু ক্রেতার অভাবে তিনি সেটি বিক্রি হয়নি। অবশেষে তিনি গাভীটি নিয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন বলে জানান। আড়পাড়া গ্রামের গ্রাম্য চিকিৎসক মশিয়ার রহমান জানান, তিনি দুটি গরু কেনার জন্য হাটে এসেছেন। কিন্তু হাটে গরুর সংখ্যা খুবই কম। তারপরও পছন্দমত একটি গরুর তিনি ৮৪ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করেছেন। আর একটি পশু আগামী রবিবারের হাট থেকে তিনি ক্রয় করবেন বলে জানান।

পশু বিক্রির পাশ ঘরে কর্মরত মোঃ রিপন হোসেন জানান, অনেক দিন পরে হাট বসার কারনে ক্রেতা বিক্রেতা অনেকেই সংবাদ পাইনি সে কারনে হাটে পশুর সংখ্যা খুবই কম। তবে দু এক হাট গেলে আবার স্বাভাবিক হয়ে উঠবে হাট এমনটিই তিনি মনে করছেন।

হাট কর্তৃপক্ষ মনে করছেন প্রায় দুই মাস পর হাট চালু হওয়াতে অনেকেই এখনও পর্যন্ত খবর পাইনি। সে কারনে হাটে পশুসহ ক্রেতা বিক্রেতার উপস্থিতি কম। এ ছাড়া দেশের অন্য প্রান্তের হাটের কি অবস্থা সেটিও সকলের অজানা। তবে আশা করছেন দু’এক হাট গেলেই পশুহাট পূর্বের অবস্থা ফিরে পাবে।

মে ১৩, ২০২০ at ১৭:৫৭:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমআই/এএডি