সিএইচসিপি সোহেল রানার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নাই

মাগুরার সদর উপজেলার গোপালগ্রাম ইউনিয়নের সংকোচখালী মধ্যপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) সোহেল রানার বিরুদ্ধে কর্ম ফাঁকিসহ সেবা প্রদানে অনিয়ম, হয়রানি ও দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ আছে, ওই কমিউনিটি ক্লিনিকে রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়ার কথা থাকলেও টাকা ছাড়া সেবা মেলে না। ক্লিনিকটি যথা সময়ে খোলা থাকে না এবং রোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়।এর ফলে ওই কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা সর্বস্তরের ব্যাক্তিবর্গকে দুর্ভোগ পোঁহাতে হচ্ছে।

ক্লিনিকের বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে মাগুরা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা জানান, করোনা সংক্রমণের সময় সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত এবং নিয়মিত সময়ে ক্লিনিকটি সকাল ৯ টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত খোলা থাকার কথা।

কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ক্লিনিকটির কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) সোহেল রানা সকাল ১০টার আগে ক্লিনিকে আসেন না। আসার পর ২-১ ঘণ্টার ভিতর তার চেম্বার বন্ধ করে ক্লিনিকটির প্রধান দরজা খোলা রেখে বের হয়ে যান। পরে একজন মহিলা (ক্লিনার) প্রধান দরজায়় তালা মেরে দিয়ে চলে যায়।

এলাকাবাসী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসহায় রোগীদের দ্রুত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলি সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু ওই ক্লিনিকে কর্মরত সিএইচসিপি’র দায়িত্ব ও কর্তব্য অবহেলার কারনে সে সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ জনগণ।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, ক্লিনিকে আগত রোগীদের কাছ থেকে সরকারি ঔষধের বিনিময়ে অর্থ আদায়সহ ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ আছে সোহেল রানার উপর।

স্থানীয় আওয়ামীলীগের ওয়ার্ড সভাপতি জানান, সোহেল রানার কার্যক্রম ভালো না। তার নামে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয় আর এক ব্যাক্তি জানান, তাকে ক্লিনিকে গেলে পাওয়া যায় না। ফোন করে আনতে হয়।

সাহেব নামে এক ব্যাক্তি জানান,তার কাছে ঔষধ চাইলে বলে এখন নাই।