চৌগাছা বাজারে মানুষের উপস্থিতি দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে

মহামারি করোনা ভাইরাসের কারনে যশোরের চৌগাছাতে চলছে লকডাউন। এক মাসের অধিক সময় ধরে মানুষ ঘরে বন্দি। কিন্তু দিন যত যাচ্ছে মানুষের ঘর থেকে বের হওয়ার সংখ্যাও যেন বৃদ্ধি পাচ্ছে। করোনা ভয়কে উপেক্ষা করে জীবিকার সন্ধানে তারা ছুটছেন এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যে সোমবার(৪ মে) চৌগাছা উপজেলা সদরে মানুষের সরব উপস্থিতি সকলকে ভাবিয়ে তুলেছে।

আরো পড়ুন :
সরকারি চাকরিজীবীরা ঈদের ছুটিতে কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না
যশোরে স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কাটার উদ্বোধন
চৌগাছায় মৎস্য চাষীদের মাঝে পোনা ও উপকরণ বিতরণ

সোমবার ছিল চৌগাছার সাপ্তাহিক হাটের দিন। কাকডাকা ভোর থেকে মানুষ ছুটছে চৌগাছার হাটে। কেউ যাচ্ছে সবজি নিয়ে, কেউ দোকান খুলতে আবার অনেকে যাচ্ছেন কোন না কাজ করে টাকা রোজগারের সন্ধানে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে গোটা পৌর এলাকা মানুষে একাকার হয়ে যায়। নেই কোন সামাজিক দূরত্ব নেই কোন ভয়। যে যার মত টাকা রোজগারে ছুটছেন। প্রশাসনের পক্ষ হতে সকাল ৬ থেকে বেলা ১ টা পর্যন্ত শুধু ভোগ্যপন্যের দোকান ও ওষুধের দোকান সারা দিন খোলা থাকার কথা থাকলেও সোমবার সব ব্যবসায়ী তার প্রতিষ্ঠান খুলে বসেন এবং দুপুর পর্যন্ত যে যাই বিক্রি করতে পেরেছেন তাতেই যেন মহাখুশি।

কসমেটিক্স ব্যবসায়ী শিমুল হোসেন জানান, এক মাসের বেশি সময় হল দোকান খোলা হয়না, সকালে ঘর খুলে ১০ টা পর্যন্ত ছিলাম তাতে নয় হাজার টাকা বিক্রি হয়েছে এতেই খুশি, কিছু দিন চলতে পারবো। দা, বটি, কাস্তে বিক্রেতা লক্ষন কুমার বলেন, আর পেরে দিচ্ছি না ভাই, তাই বাধ্য হয়ে ঘর খুলতে হয়েছে। বস্ত্র ব্যবসায়ী মোঃ বাবু বলেন, কোন উপায় না পেয়ে আজ ঘর খুলেছি, বড় ভাই মাঠে ধান কাটছে আমি ঘর খুলে বসেছি যা বিক্রি হবে তাই দিয়ে কেনাকাটা করে বাড়িতে ফিরতে হবে।

এ ছাড়া ছোটখাটো যানবাহন ভ্যান, ইজিবাইক, থ্রি-হুইলার, নছিমন, করিমন অবাধে চলাচল করতে দেখা গেছে। এ সব চালকদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, ঘরে চাল নেই, রমজান মাস কি করে বেঁচে থাকবো, তাই বাধ্য হয়ে সড়কে নেমেছি।

করোনা ভাইরাস একটি মারাত্মক ছোয়াচে রোগ, তাই মানুষকে সচেতন করা ছাড়া কোন উপায় নেই। সে কারনে মানুষকে সচেতন করে ঘরে রাখার পাশাপাশি নিন্ম ও নিন্ম মধ্যবৃত্তদের তালিকা করে তাদের বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেয়া হবে উত্তাম এমনটিই মনে করছেন উপজেলার সচেতন মহল।

মে ০৪, ২০২০ at ১৮:০৪:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমআই/এএডি