সরকারি চাকরিজীবীরা ঈদের ছুটিতে কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না

ষষ্ঠ দফায় ছুটি বাড়ালো সরকার। সাধারণ ছুটি থাকছে ১৬ মে পর্যন্ত। আজ সোমবার দুপুরে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

শনিবার ছুটির বিষয়টি অনানুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছিল জনপ্রশাসন সংশ্লিষ্টরা। প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে তা আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তে পরিণত হলো।

এই ছুটির সময় সবাইকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জারি করা নির্দেশমালা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। আসন্ন ঈদুল ফিতরের সরকারি ছুটির সময় কোনও কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না।

আরো পড়ুন :
যশোরে স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কাটার উদ্বোধন
চৌগাছায় মৎস্য চাষীদের মাঝে পোনা ও উপকরণ বিতরণ
রামেক ভাইরোলজি বিভাগ ল্যাবে করোনা পরীক্ষা সক্ষমতা বাড়লো দ্বিগুন

ছুটির সময়ের নির্দেশনা :
১. এই ছুটির সময় জনসাধারণ ও সব ধরনের কর্তৃপক্ষকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জারি করা নির্দেশমালা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।

২. জরুরি পরিষেবা যেমন−বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরগুলোর (স্থল, নদী ও সমুদ্র বন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবা এবং সংশ্লিষ্ট সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীরা এই ছুটির বাইরে থাকবেন।

৩. সড়ক ও নৌপথে সকল প্রকার পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত যানবাহন (ট্রাক, লরি, কার্ডো ভ্যাসেল প্রভৃতি) চলাচল অব্যাহত থাকবে।

৪. কৃষিপণ্য, সার, কীটনাশক, খাদ্য, শিল্পপণ্য, রাষ্ট্রীয় প্রকল্পের কাঁচামাল, কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এসবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের ক্ষেত্রে ছুটি প্রযোজ্য হবে না।

৫. চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মী এবং ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বহনকারী যানবাহন ও কর্মী, গণমাধ্যম এবং কেবল টিভি নেটওয়ার্কে নিয়োজিত কর্মীরা এই ছুটির আওতাবহির্ভূত থাকবে।

৬. ওষুধ শিল্প, উৎপাদন ও রফতানিমুখী শিল্পসহ সকল কল-কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে চালু রাখতে পারবে।

৭. স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ প্রণীত বিভিন্ন কলকারখানায় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে নির্দেশনা প্রতিপালন নিশ্চিত করতে হবে।

৮. পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তীতে শিল্পকারখানা, কৃষি ও উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলো পর্যায়ক্রমে উন্মুক্ত করা হবে।

৯. সাধারণ ছুটিকালীন কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা যাবে না।

১০. রমজান, ঈদ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা বিবেচনায় ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবে।

১১. সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন অফিসগুলো প্রয়োজন অনুসারে খোলা রাখবে। সেইসঙ্গে তারা তাদের অধিক্ষেত্রের কার্যাবলি পরিচালনার জন্য সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা জারি করবে।

১২. ঈদুল ফিতরের সরকারি ছুটিতে কেউ কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবে না।

মে ০৪, ২০২০ at ১৭:৪৯:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/বিএন/এএডি