গৃহবধুকে অপহরনের পর ধর্ষন ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগ

মাগুরায় এক গৃহবধূ নিখোঁজের একদিন পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করেছে স্বজনরা। প্রতিবেশী রিপন নামে এক যুবক তাকে ধরে নিয়ে আটকে ধর্ষনসহ শারীরিক নির্যাতনের এক পর্যায়ে মুখে বিষ ঢেলে হত্যার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে গৃহবধূর পিতা বাদী হয়ে শনিবার বিকালে মাগুরা সদর থানায় ধর্ষন ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন।

আরো পড়ুন :
লালপুরে আরো ৭ জনের নমুনা সংগ্রহ
চৌগাছায় ধান চাল গম ক্রয় ও করোনা প্রতিরোধ বিষয়ে সভা
চৌগাছায় কম্বাইন্ড হার্ভেষ্টার মেশিনে ধানকাটা পরিদর্শন

ধর্ষনের শিকার গৃহবধূর বাবা জানান, চার বছর হলো মেয়েকে মাগুরা সদর উপজেলার মহিষাডাঙ্গা গ্রামের হাটপাড়া এলাকায় এক কৃষক পরিবারে বিয়ে দিয়েছেন। সেখানে দেড় বছরের এক পুত্র সন্তান রয়েছে তার। স্বামী সন্তান নিয়ে সুখে শান্তিতে সংসার করছিলেন তারা। এ অবস্থায় ১ মে শুক্রবার সেহেরির সময় হতে তার মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানতে পারেন। পরে অনেক খোঁজার পরেও মেয়ের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে ফোনে নাতি ছেলে হাসপাতালে এমন খবর পেয়ে মাগুরা সদর হাসপাতালে আসলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মেয়েকে খুঁজে পাই। তাকে বিষ পান করা অবস্থায় নিয়ে এলে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে জানায় চিকিৎসক। এ সময় তার শরিরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্নসহ গায়ের কাপড় ছেড়া ফাড়া ছিলো।

পরে তার মেয়ে জানায়, প্রতিবেশী তাইজেল মোল্লার পুত্র রিপন সেহেরির সময় তাকে জোরপুর্বক তুলে নিয়ে যায়। তাকে ধর্ষন ও নির্যাতনের এক পর্যায়ে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে। এরপর আজ সকালে জ্ঞান ফিরলে পালিয়ে আসতে চাইলে তাকে মারধর করে এক পর্যায়ে মুখে বিষ ঢেলে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এ সময় আবারও অচেতন হয়ে পড়ে সে। পরে কে বা কারা তাকে হাসপাতালে এনে রেখে যায়। এ ঘটনায় মাগুরা সদর থানায় রিপনসহ মোট চার জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন তিনি।

আজ ৩ মে রবিবার বিকেলে মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন জানান, এ ঘটনায় গৃহবধূর বাবা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আসামী গ্রেফতার অভিযান ও ঘটনার তদন্তের জন্য মহিষাডাঙা গ্রামে গিয়েছিলামন। নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আছেন এখন পর্যন্ত মেডিকেল রিপোর্ট হাতে আসেনি আগামীকাল হয়তো তার ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যেতে পারে।

মে ০৩, ২০২০ at ১৭:৪৫:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমএম/এএডি