কিট পরীক্ষার অনুমতি পেল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত করোনা শনাক্তের কিটের সক্ষমতা পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর।

বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) এ তথ্য নিশ্চিত করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান বুধবার (২৯ এপ্রিল) এ অনুমতি দিয়ে চিঠি লেখে ওষুধ প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) সেই চিঠি পেয়েছে বিএমএসএসইউ ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

আরো পড়ুন :
চলছে লুকোচুরি, বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল!
শ্রমিক সংকটে ধান কাটলেন চৌগাছা উপজেলা ছাত্রলীগ
নাটোর জেলা লকডাউন ঘোষণা

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, ওষুধ প্রশাসনের পক্ষ থেকে গতকাল বিএমএসএসইউ ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রর কাছে ইস্যু করা হয় এবং আজ দুই প্রতিষ্ঠানই সেই চিঠি পেয়েছে। আমরা চাচ্ছিলাম যে, দুই লাইনের একটা চিঠি দেন, ফাইনালি তারা ব্যুরোক্রেসি (আমলাতান্ত্রিকতা) বাদ দিয়ে চিঠি দিয়েছে।’

‘বিএসএমএমইউ কীভাবে গবেষণা করবে, তাদের চাহিদা মতো মাল-মসলা দেব। আগামী শনিবার তাদের সঙ্গে আমরা এসব বিষয় নিয়ে বসবো’, যোগ করেন গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা।

গত ২৫ এপ্রিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের কাছে করোনা টেস্টের কিট হস্তান্তর করা হয়। এরপর থেকে ওষুধ প্রশাসনের কাছে কিটের ট্রায়াল চালানোর অনুমতির জন্য দেনদরবার করে আসছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। এক পর্যায়ে দুই পক্ষ একে অপরকে দোষারোপ শুরু করে। গণস্বাস্থ্য অভিযোগ তোলে ওষুধ প্রশাসন কিটের ট্রায়ালের বিষয়ে সহায়তা করছে না। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। এর আগে ১৭ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের পরীক্ষার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক গবেষণায় কিট উৎপাদনের কথা জানায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। পরে ১৯ মার্চ কিট উৎপাদনে যায় প্রতিষ্ঠানটি। করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের ‘জিআর র‌্যাপিড ডট ব্লট ইমিউনোঅ্যাসি’ কিট তৈরি করেছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গবেষক ড. বিজন কুমার শীলের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি দল। দলের অন্য সদস্যরা হলেন ড. নিহাদ আদনান, ড. মোহাম্মদ রাঈদ জমিরউদ্দিন, ড. ফিরোজ আহমেদ।

এপ্রিল ৩০, ২০২০ at ১৯:০৬:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/কেকে/এএডি