জীবননগরে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু

চুয়াডাঙ্গার জেলার জীবননগরে আশামনি নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।নিহতের স্বামীর দাবি মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে তার স্ত্রী বসত ঘরের ঝাউনির আড়ার সঙ্গে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

নিহতের পরিবারের দাবি, মাঝে মধ্যে ওদের সংসারে গোলযোগ হতো, আরও বলেন, তারই কারনে স্বামী বাপ্পি আশামনিকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছেন।

নিহতের স্বামী বাপ্পিকে মঙ্গলবার রাতেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নিয়েছে জীবননগরে থানা পুলিশ।

জানা গেছে, জীবননগর পৌর শহরের পুরাতন লক্ষ্ণীপুর গ্রামের ওহিদুল ইসলামের ছেলে রং মিস্ত্রি বাপ্পির সঙ্গে পার্শ্ববর্তী মহেশপুর উপজেলার সরিষাঘাটা গ্রামের আশাদুল ইসলামের মেয়ে আশামনির সঙ্গে এক বছর দুই মাস আগে বিবাহ হয়। নিহতের স্বামী বাপ্পি জানান, রাতের খাবার খেয়ে সে বাড়ির পার্শ্ববর্তী চায়ের দোকানে যায়। পরবর্তীতে রাত ১০টার দিকে বাড়ি ফিরে আশামনিকে ডাকাডাকি করলে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরে ঢুকে দেখে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আশামনি ঝুলছে।
আরও পড়ুন: ৫ লক্ষ টাকার হেরোইনসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

দ্রুত উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিষয়টি থানায় জানায় সাথে সাথে জীবননগর থানার ওসি (অপারেশন) মোল্লা সেলিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

নিহতের পরিবারের দাবি আশামনি আত্মহত্যা করেনি তাকে হত্যা করো হয়েছে। এ ব্যাপারে নিহতের মামা রতন বাদী হয়ে জীবননগর থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

জীবননগর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, গৃহবধূর নিহতের ঘটনা তদন্তে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন, এ ঘটনায় স্বামী বাপ্পিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

বুধবার সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা মর্গে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে বোঝা যাবে এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা।

দেশদর্পণ/টিআর/এসজে