উজ্জ্বল ‘হত্যা না মৃত্যু’,

প্রথমে গোয়েন্দা পুলিশ ও পরে মাদক নিরাময় কেন্দ্র ‘আদর’ কর্মকর্তা পরিচয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাবার পর সাতক্ষীরায় উজ্জ্বল সরকার নামের এক ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তাকে হত্যা করা হয়েছে নাকি তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে তা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।

নিহত উজ্জ্বল সরকার (৩৫) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের বিমল সরকারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত ছিলেন। তার পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ১২ ডিসেম্বর রাতে তার বাড়িতে মুখে কালো কাপড় বেঁধে ডিবি পরিচয়ে কয়েক ব্যক্তি হানা দেয়। তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে তারা নিজেদের মাদক নিরাময় কেন্দ্র ‘আদর’ এর লোক বলে জানান।

তারা বলেন, উজ্জ্বলের স্ত্রী বিউটি সরকার তাদের ডেকে এনেছেন। এজন্য তারা তাকে নিয়ে যাচ্ছেন। তবে পরিবারের লোকজন বলেন, বিউটি সরকার ষড়যন্ত্র করে তার স্বামীকে তাদের হাতে তুলে দেয়। তাদের দাবি এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা। এর সাথে জড়িত রয়েছে উজ্জ্বলের স্ত্রী বিউটি ও আদর কর্তৃপক্ষ। তারা এর বিচার দাবি করেন।

উজ্জ্বলের স্বজনরা জানান, শনিবার তারা জানতে পারেন উজ্জ্বল আহত অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সেখানে যেয়ে আদরের লোকজনকে দেখে বিষয়টি কী তা জানতে চাইলে জানানো হয় উজ্জ্বল পালিয়ে আসার লক্ষ্যে দোতলার ছাদ থেকে লাফ দেয়।

এ সময় সে আহত হলে তাকে হাসপাতালে আনা হয়। এরপর সন্ধ্যায় মারা যান উজ্জ্বল। তার লাশ স্বজনরা বাড়িতে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ শনিবার রাতেই তার লাশ বাড়ি থেকে নিয়ে আসে।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে মাদক নিরাময় কেন্দ্র ‘আদর’ এর কর্মকর্তা পরিচয় দানকারী মো. মোস্তফা জানান, আমরা গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয় দিয়েছিলাম। কারণ তাদের ভয় দেখানোর জন্য। তার বাবা, মা ও স্ত্রীর সম্মতি নিয়ে তাকে আদর এ নিয়ে আসা হয়। সেখানে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফজুর রহমান জানান, মাদক নিরাময় কেন্দ্র ‘আদর’ এ চিকিৎসাধীন অবস্থায় উজ্জল নামের ওই ব্যক্তি মারা গেছে বলে জানা গেছে। তিনি আরো জানান, নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।