নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের এসিল্যান্ড নাজমুল হুসাইনের বিরুদ্ধে সরকারি গাড়িতে ব্যক্তিগত সফর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে এসিল্যান্ড নাজমুল হুসাইন তার জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি গাড়ি নিয়ে গাইবান্ধা যান এবং সেখানে তিন দিন অবস্থান করার অভিযোগ রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সোনারগাঁ এসিল্যান্ড অফিসের এক কর্মচারী জানান, দীর্ঘদিন ধরে ভূমি অফিসে চাকরি করছি। এমন এসিল্যান্ড একজনও পায়নি। এসিল্যান্ড স্যার গত ৫ তারিখে সরকারি গাড়ি নিয়ে গাইবান্ধা যায় এবং ৭ তারিখ রাতে সোনারগাঁয়ে ফিরে আসেন।
এছাড়াও জানা গেছে, প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের সচিবালয় স্মারক নং ৭০০৯/২/ঈরা-১, তারিখ ২৭ জুলাই, ১৯৮২ ও ১২ ডিসেম্বর ১৯৮২ এবং সরকারি যানবাহন (ব্যবহার নিয়ন্ত্রন) বিধিমালা, ১৯৮২ এখনও নিম্নরূপভাবে কার্যকর রয়েছে। এই আইন অনুযায়ী ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে এবং গাড়ীর সামনের বাম্পারে “অন পেমেন্ট” লেখা বোর্ড থাকতে হইবে। তবে সোনারগাঁয়ের এসিল্যান্ড এই বিধিমালা না মেনে সম্পূর্ন বেআইনি ভাবে ভ্রমন করেছেন।
এই আইনে আরও রয়েছে, বাসভবনের ২৫ মাইলের অধিক দূরত্বে গাড়ী নেয়া যাবে না। তবে সরকারীভাবে স্বীকৃত পার্ক, বিনোদন কেন্দ্র ও ঐতিহাসিক স্থানসমূহ ভ্রমণের জন্য ত্রিশ মাইল পর্যন্ত দূরত্বে ভ্রমণ করা যাবে এবং ব্যক্তিগত ব্যবহার অপেক্ষা অফিসিয়াল ব্যবহারকে অধিক গুরুত্ব প্রদান করতে হবে।
এ বিষয়ে একজন আইনজীবী জানান, প্রশাসনে সরকারি গাড়ি অপব্যবহারের রীতিমতো মহোৎসব চলছে। কিন্তু এ নিয়ে প্রশ্ন তোলার যেন কেউ নেই। আইন সবার জন্য সমান। একজন এসিল্যান্ড নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হয়েও সরকারি গাড়ি বিধিমালার অপব্যবহার কোনভাবে কাম্য নয়, এটা দু:খজনক। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে জানতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রকিবুর রহমান খানের ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তা রিসিভ করেন নি। অপরদিকে এসিল্যান্ড নাজমুল হুসাইনের ব্যবহৃত মুঠোফোনেও ফোন করা হলে তিনি তা রিসিভ করেন নি।
ডিসেম্বর ০৯, ২০১৯ at ১৯:৪৪:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/শাআতু/এজে
