মহানগর আওয়ামী লীগের উত্তর ও দক্ষিণ শাখার সম্মেলনে সর্বসম্মতিক্রমে নতুন নেতৃত্ব ঘোষণা করেছেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে দুই শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।
ঘোষিত কমিটির ঢাকা মহানগরের উত্তরের সভাপতি হয়েছেন শেখ বজলুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি। অপরদিকে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি পদে এসেছেন আবু আহমেদ মান্নাফি ও সাধারণ সম্পাদক পদে হুমায়ুন কবির।
এর আগে ঢাকা মহানগরের দুই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু করেন ওবায়দুল কাদের। এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ পেতে চান ১৫ জন প্রার্থী। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থী ছিলেন ২২ জন। যার মধ্যে ঢাকা উত্তর মহানগর আওয়ামী লীগের ৯ জন আর দক্ষিণে ১৩ জন। এসময় নাম প্রস্তাব করা হয়।
পরে সর্বসম্মতিক্রমে ঢাকা মহানগর উত্তরে শেখ বজলুর রহমান সভাপতি আর সাধারণ সম্পাদক পদে এস এ মান্নান কচি মনোনীত হন। তাছাড়া দক্ষিণে সভাপতি পদে মান্নাফী আর সাধারণ সম্পাদক পদে হুমায়ুন কবির মনোনীত হন।
শেখ বজলুর রহমান ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এস এম মান্নান কচি মহানগর উত্তর শাখা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া আবু আহমেদ মান্নাপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি ও হুমায়ুন কবির নির্বাহী সদস্য ছিলেন।
দীর্ঘ সাত বছর পর নতুন নেতৃত্ব পেল ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ। এর আগে ২০১২ সালের ২৭ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন হয়। এর বছর তিনেক পর ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগকে দুই ভাগে বিভক্ত হয়।
এদিকে দীর্ঘ সাত বছর পর সম্মেলনকে কেন্দ্র করে শনিবার ভোর থেকেই নেতাকর্মীদের ঢল নামে সম্মেলনস্থল ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অভিমুখে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে নেতাকর্মীদের সংখ্যা। নেতাকর্মীদের ভিড়ে সকাল নয়টা থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে হাইকোর্ট এলাকা, শাহবাগ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্ত্বর পরিণত হয় জনসমুদ্রে।
নভেম্বর ৩০, ২০১৯ at ১৯:৩৬:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/ভোকা/এএএম