ভিতরবন্দ শিশু পার্ক এখন সৌন্দর্যময় বিনোদন কেন্দ্র

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নে গড়ে উঠেছে শিশুদের বিনোদন উদ্যান “ভিতরবন্দ শিশু পার্ক”। ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র প্রাঙ্গনে ২০১৬ সালে নিজস্ব উদ্যোগে পার্ক গড়ে তুলেন ভিতরবন্দ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আমিনুল হক খন্দকার বাচ্চু। গত ৩০ মার্চ ২০১৯ ইং তারিখে শিশু পার্কটির শুভ উদ্বোধন করেন কুড়িগ্রাম-১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য মোঃ আছলাম হোসেন সওদাগর।

কুড়িগ্রাম জেলাজুড়ে কোথাও গড়ে ওঠেনি এমন সৌন্দর্যময় পার্ক। এই পার্কটিকে ঘিরে শিশু ও অভিভাবকরা বেশ আগ্রহী হয়ে উঠছেন। বেড়েছে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা দর্শনার্থী। এমনকি বিদেশী দর্শনার্থীদেরও লক্ষ্য করা গেছে এই শিশু পার্কটিতে। প্রতিদিনই প্রায় পাঁচ শতাধিক দর্শনার্থী পার্কটিতে ঘুরতে আসে। বিশেষ দিনগুলোতে অনেক দর্শনার্থী ঘুরতে আসে বলে জানা গেছে।

পার্কটিতে শিশুদের চিত্তবিনোদনের জন্য বিভিন্ন খেলনার পাশাপশি রয়েছে ৭১ সালের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ দের তালিকা, বিভিন্ন কবি সাহিত্যিক এর জীবন কাহিনী। এছাড়াও বাঘ, ডাইনোসার, জিরাফ, ময়ুর, হাতিসহ বিভিন্ন জীব-জন্তু, পাখি ও মাছের ভাস্কর্য। সেই সাথে ভাস্কার্যের পাশে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা। এছাড়াও ঝর্ণার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কৃত্রিম এই পাহাড় ও ঝর্ণা থেকে যে নদ-নদীর সৃষ্টি তা সেখানে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। অপরদিকে পার্ক জুরে রয়েছে নানাবিধ উদ্ভিদ ও বৃক্ষ এবং তার সাধারণ ও বৈজ্ঞানিক বর্ণনা। এতে করে শিশু ও দর্শনার্থীরা শুধু পার্কে ঘোরাই নয় শিক্ষাও গ্রহণ করতে পারবে।

কুড়িগ্রামের ১৬ নদ-নদীকে চিহিৃত করে একটি ছোট্ট নদী এবং নদীর উৎস পাহাড় ও পার্কের দেয়াল জুরে বাঙালির দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস চিত্রিত করা হয়েছে। আছে স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের সকল রাষ্ট্রপতিদের বর্ণনা। গোটা পার্কটাই যেন একটা শিক্ষালয়। প্রবেশ ফি মুক্ত শিশু পার্কটির যাবতীয় খচর বহন করেন ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আমিনুল হক খন্দকার বাচ্চু। তার এ মহৎ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ঘুরতে আসা দর্শনার্থীসহ স্থানীয়রা।

আরও পড়ুন:
কোটচাঁদপুর থানা পুলিশের ‘ওপেন হাউজ ডে’ অনুষ্ঠিত
৬ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ মুক্ত দিবস উদযাপনের প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত

দু’বার জেলার শ্রেষ্ট ভিতরবন্দ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আমিনুল হক খন্দকার বাচ্চু বলেন, শিশুদের জ্ঞান বিকাশের কথা বিবেচনা করে পড়া লেখার পাশাপাশি আনন্দ-বিনোদনের মধ্যদিয়ে যেন তারা শিখতে পারে। এজন্য নিজস্ব উদ্যোগে শিশুদের চিত্তবিনোদনের জন্য পার্কটি গড়ে তুলেন তিনি। বিনামুল্যে প্রবেশের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে শিশু পার্কটি। ভিতরবন্দ শিশু পার্ক আরো সৌন্দর্যময় ও প্রসারিত করতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

নভেম্বর ২৩, ২০১৯ at ১৬:৫৮:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এএল/এআই