সব টেবিলে ভাগ হয় সাতক্ষীরা পাসপোর্ট অফিসের ঘুষের টাকা!

সাতক্ষীরা পার্সপোর্ট অফিসের ঘুষ ও দূনীতি এখন চরম পর্যায়ে। অফিসে ফের সক্রিয় হয়েছে চ্যানেল ব্যবস্থা, পাসপোর্ট পেতে দারুণ হয়রানি হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের।

সাধারণ বা জরুরী কোনভাবেই নির্দিষ্ট সময়ে পাওয়া যাচ্ছে না পার্সপোর্ট বই। চুক্তিতে ও দালাল ধরে পার্সপোর্ট অফিসে গেলে কোন ঝামেলা হয় না।কিন্তুু যারা সাধারণ ভাবে পাসপোর্ট করতে যান তাদের ঝামেলার শেষ থাকে না। সাধারণ মানুষের অভিযোগ টাকা ছাড়া পার্সপোর্ট করতে গেলে অফিস কর্মকর্তাদের চাহিদার শেষ থাকে না, পারলে আমাদের ডিএনএ টেস্ট করিয়ে নিতো।

এক শ্রেণীর দালালরা পুরো পাসপোর্ট অফিস জিম্মি করে রেখেছে। তাদের মাধ্যমে পার্সপোর্ট না করলে সাধরণ মানুষ পাসপোর্ট করতে পারে না। সাতক্ষীরা পার্সপোর্ট অফিসের বর্তমান সহকারি পরিচালক (এডি) এস এম সাখাওয়াত হোসেন যোগদানের পর থেকে এই অনিয়ম ও দুর্নীতি যেন চরমে পৌছেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

আরও পড়ুন:
রাবিতে ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি ফলাফল প্রকাশিত, ভর্তি হতে যা যা লাগবে
রাতে ঘুম না হলে যা করবেন

সাতক্ষীরা পলাশপোলের মোছা. নূর জাহান জানান, প্রায় দুই মাস অগে পাসপোর্ট করলেও আজও তিনি পাসপোর্ট হাতে পাননি। পায়রাডাঙ্গা গ্রামের সাইফুল্লা বলেন, সে কাতার যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট করেছেন প্রায় দেড় মাস আগে তার ভিসার মেয়াদ প্রায় শেষের পথে কিন্তুু এখনও পাসপোর্ট হাতে পাননি। তিনি দালালের মাধ্যমে বাড়তি টাকা দিয়ে পাসপোর্ট করেছিলেন যাতে পাসপোর্টটি দ্রুত পান। এখন এডির নিয়োগকৃত দালালরা বলছে পাসপোর্ট দ্রুত নিতে গেলে আরও এক হাজার টাকা বাড়তি দিতে হবে। এই টাকা এডি স্যারের দিলে স্যার ঢাকায় দ্রুত কথা বলে পাসপোর্ট এনে দেওয়ার ব্যাবস্থা করবেন।

এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমরা পাসপোর্ট অফিস মনিটর্রিং করছি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।

সাতক্ষীরা পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক এস এম সাখাওয়াত হোসেন জানান, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সেটি সঠিক নয়। দালালরা টাকা নিলে তার কিছুই করার থাকে না বলে তিনি জানান।

নভেম্বর ৬, ২০১৯ at ১০:০০:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এএএম/এআই