শিশু তুহিন হত্যায় মামলা দায়ের

সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউপির কেজাউরা গ্রামের নৃশংস হত্যা কান্ডের ঘটনায় নিহত তুহিনের মা মনিরা বেগম বাদি হয়ে অজ্ঞাত ১০-১২ জনের নামে দিরাই থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)কে এম নজরুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় সোমবার(১৪,১০,১৯) সকালে রাস্তার পাশে কদম গাছের ডালে গাছে ঝুলে আছে শিশুর লাশ। পেটের মধ্যে ঢুকানো আছে দুটি ছুরি। ডান হাতটি গলার সঙ্গে থাকা রশির ভেতরে ঢুকানো আছে। বাম হাতটি ঝুলে আছে লাশের সঙ্গে। কেটে নেওয়া হয়েছে শিশুটির কান ও লিঙ্গ। আর তার পুরো শরীর ভিজে আছে রক্তে।

পাষন্ড হত্যাকারীরা এত ববর্রভাবে শিমুটিকে হত্যা করা হয়েছে দেখলেই গা শিউরে ওঠে। এর পরে লাশটি রশি দিয়ে ঝুলিয়ে দিয়েছে বাড়ির সামনে।

খবর পেয়ে সকাল ১০টায় পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে দুপুরে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। নিহত তুহিন উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউরা গ্রামের আব্দুল বাছিরের ছেলে।

আরো পড়ুন:
ত্রি-দেশীয় সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে ভারত যাচ্ছেন কুড়িগ্রামের রনো
লালপুরে মাচায় লাউ চাষ করে সফল হয়েছেন চাষীরা

কারা এই শিশুটিকে এভাবে বীভৎস কায়দায় খুন করেছে তা নিয়ে সবার ভেতরে ছিল কৌতূহল। তবে প্রাথমিকভাবে এই খুনের পেছনে যে তথ্য পাওয়া গেছে তা রীতিমত আঁৎকে ওঠার মতো। যাদের কাছে আশ্রয় পাওয়ার কথা তারাই শিশুটির খুনের সঙ্গে জড়িত। এমনকি তার বাবাও এর সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পেয়েছে পুলিশ।

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই নির্মম ও বর্বর এই পদ্ধতি অবলম্বন করে পরিবারটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান এমনটিই জানান। তিনি আরো জানান, তবে শিগগিরই আদালতের মাধ্যমে পুলিশ রেকর্ড দিয়েই আসামিদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে। পারিবারিক সম্পৃক্তায় এক পক্ষ আরেক পক্ষকে ঘায়েল করতে এই ঘটনাটি গঠতে পারে এখনও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

এঘটনায় তুহিনের বাবাসহ ৬-৭জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়েছে পুলিশ। তারা হলেন তুহিনের বাবা আব্দুল বাছির, চাচা আব্দুল মুছাব্বির, ইয়াছির উদ্দিন, প্রতিবেশী আজিজুল ইসলাম, চাচি খাইরুল নেছা ও চাচাতো বোন তানিয়া।

তদর্ন্তে প্রমানিত হলে আটক, না হলে কাউকে হয়রানী করা হবে না জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।

অক্টোবর ১৫, ২০১৯ at ১২:০৩:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/জাআ/এএএম