মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রেজাউল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ তুলেছেন এক তরুণী।
মঙ্গলবার (২ আগষ্ট) বিকেলে সিংগাইর উপজেলার থানা চত্বরে গনমাধ্যম কর্মীদের কাছে এই বিষয়ে মৌখিক জানান ওই তরুণী। তিনি জানান বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন জেলার সিংগাইর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রেজাউল হক তবে সম্প্রতি ঐ পুলিশ কর্মকর্তা তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে।
তরুণী বলেন গত বছর তার ছোট ভাইয়ের মিসিং ডাইরি করতে তিনি সিংগাইর উপজেলার থানায় গেলে ওসির কক্ষে প্রথম পরিচয় হয় রেজাউল হকের সঙ্গে। এরপর তাদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে কয়েকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়।
পরবর্তীতে পুলিশ কর্মকর্তার বিবাহিত স্ত্রী এই সম্পর্কের কথা জানতে পারে। গত রোববার রেজাউল হকের মোবাইল নাম্বারে কল দিলে তার স্ত্রী ওই তরুণীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন বলে জানান ওই তরুণী। পরের দিন ওই তরুণী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করতে তার বাসায় গেলে পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী পুলিশ ডেকে তাকে মারধর করে থানায় পাঠিয়ে দেয়। এরপর থানায় ওই পুলিশ কর্মকর্তা এসে তাকে বিয়ে করার কথা বলে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় বলে জানান তরুণী। এরপর থেকে ঐ পুলিশ কর্মকর্তার মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেননি তরুণী এবং ঐ পুলিশ কর্মকর্তার কোন খোঁজ পাচ্ছেন না বলে জানান তিনি।
এবিষয়ে যদি রেজাউল হক ওই তরুণীর সাথে যোগাযোগ করে তাহলে লিখিত অভিযোগ করবেন না বলে জানান ওই তরুণী। তবে তার সাথে যোগাযোগ না করলে তিনি পরবর্তীতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে পারেন বলে জানান ওই তরুণী।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ জানান এই বিষয়ে লিখিত কোন অভিযোগ হয়নি, অভিযোগ হলে আইন অনুযায়ী তদন্ত সাপেক্ষে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার। এ বিষয়ে জানতে সহকারী পুলিশ সুপার রেজাউল হকের মোবাইল নাম্বারে কয়েকবার কল করে তার সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।
অগাস্ট ০২,২০২২ at ২১:৪৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/আহার/রারি