চৌগাছায় অসময়ের বৃষ্টিতে ধান চাষিদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা

অসময়ের বৃষ্টিতে যশোরের চৌগাছার ধান চাষিদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করছেন ধান চাষিরা। বরাবরের মতো সীমান্তবর্তী এই উপজেলায় ব্যাপকহারে ধান চাষ হয়ে থাকে। চলতি বছর এই উপজেলা জুড়ে ১৭ হাজার ৬শ ৮৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমন ধান চাষ করা হয়েছে।

উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার প্রায় সব মাঠেই কম বেশি এই ধান চাষ হয়ে থাকে। চলতি বছর প্রথম থেকেই আবহাওয়া ভালো থাকায় কৃষকরা এবার ভালো ফলনের আশা করেছিলেন। সেই হিসাবে এই উপজেলার ধান চাষিরাও এবার ব্যাপকহারে ধান চাষ করেছেন। তবে অন্য সব বছরের তুলনায় ফলনও হয়েছিল বেশ ভালো।

ইতো মধ্যে মাঠের পর মাঠের ধান কম বেশি কাটতে শুরু করেছেন এই উপজেলার হাজারো কৃষক। বিঘার পর বিঘা কাটা ধান  কয়েক দিনের পানিতে ভিজে একাকার। ধানের বিচেলী যেমন তেমন ধান কিভাবে রক্ষা করবে সেই চিন্তায় বিভোর চাষিরা।

বিগত কয়েকদিন ধরে হচ্ছে বৃষ্টিপাত, সেই সাথে বয়ে যাচ্ছে মৃদু হাওয়া। অসময়ের এই বৃষ্টিপাতে মাঠের রোপা আমনের অপুরোনীয় ক্ষতি হবে বলে আশংকা করছেন চাষিরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর চৌগাছা উপজেলা জুড়ে ১৭ হাজার ৬শ ৮৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমন ধান চাষ করা হয়েছে। এরমধ্যে ব্রি-ধান ৮৭, ব্রি-ধান ৭৫, ব্রি-ধান ৭ উল্লেখযোগ্য। মাটির গুনাগুন ভেদে এলাকা বিশেষ বিভিন্ন জাতের ধান চাষ করেছেন চাষিরা। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ধানের বাম্পার ফলনের আশা ছিল কৃষক ও কৃষি অফিসের। মঙ্গলবার কিছুটা আবহাওয়া ভালো থাকায় উপজেলার চাঁদপাড়া, সিংহঝুলী, কয়ারপাড়া, বড়খানপুরসহ বেশ কিছু গ্রামের মাঠে যেয়ে দেখা যায়, কৃষকরা আমন ধান কাটতে শুরু করেছে। গেল কয়েক দিনের বৃষ্টির আগে থেকেই চাষিরা মাঠে বিঘার পর বিঘা ধান কেটে জমিতেই ফেলে রাখেছেন। রোদে শুকানোর পর তা বাড়িতে এনে ঝেড়ে ধান গোলাতে আর বিচেলী গো-খাদ্য হিসেবে বাড়ির আঙিনায় গাদা দিয়ে রাখবেন।

আরো পড়ুন:
রাবি গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে চিরনিদ্রায় হাসান আজিজুল হক
ভর্তিচ্ছুদের পাশে শহীদ রফিক-জব্বার হল ছাত্রলীগ

অন্য বছরের মত এ বছরও চাষিরা অনেক আশা বুকে ধারন করে মাঠে আমন ধান চাষ করেন। কৃষকের সেই স্বপ্ন বলাচলে পুরোনের পথে। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টির কারনে সেই স্বপ্ন এখন ভঙ্গের পথে। গো-খাদ্য হিসেবে বিচেলী তৈরী যেমন তেমন ধান কি ভাবে বাড়িতে আনবে সেই চিন্তায় গ্রামের পর গ্রামের চাষিরা বিভোর।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সমরেন বিশ্বাস বলেন, বৈরী আবহওয়ার কারনে আমন চাষিরা কিছুটা বিপাকে পড়েছেন, তবে বৃষ্টি যদি দীর্ঘস্থায়ী না হয় তাহলে ধানের তেমন কোন সমস্যা হবেনা। যে সকল জমিতে পানি জমে গেছে, কৃষককে ওই জমির আইল কেটে পানি বের করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

নভেম্বর ১৬.২০২১ at ২০:০১:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মই/জআ