বগুড়ার শেরপুরে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে শেরপুর থানার পুলিশ। নিহত ওই গৃহবধূর নাম সুমাইয়া খাতুন (২২)। উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের শালফা গ্রামের বসতবাড়ির শয়নকক্ষ থেকে ঝুলন্ত লাশটি উদ্ধার করে থানায় আনে পুলিশ।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনদের দেওয়া তথ্য মতে জানা যায়, পাঁচ বছর আগে উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের শালফা গ্রামের শাহাদত হোসেনের সঙ্গে একইগ্রামের মনছের আলী ফকিরের মেয়ে সুমাইয়া খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর শাহাদত হোসেনকে শ্বশুরবাড়িতে ঘর জামাই রাখা হয়। শাহাদাত হোসেন কর্ম সূত্রে ঢাকায় থাকতেন আর সুমাইয়া খাতুন তার বাবার বাড়িতে থাকতেন। মঙ্গলবার (৩১ আগষ্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিহতের মা-বাবা বাড়ির বাইরে সাংসারিক কাজ করছিলেন। একপর্যায়ে বাড়ির মধ্যে গিয়ে মেয়ে সুমাইয়ার ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ দেখতে পান। পরে একাধিকাবার ডাকাডাকি করা হয় তাকে। কিন্তু কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে গিয়ে দেখতে পান সুমাইয়া খাতুনের ঝুলন্ত লাশ। এরপর সুমাইয়া খাতুনের বাবা থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নিহতের লাশ উদ্ধার করেন।
এই বিষয়ে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম কথা বললে তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গৃহবধূ সুমাইয়া খাতুন শয়নকক্ষের আত্মহত্যা করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য সুমাইয়া খাতুনের লাশ বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে রিপোর্ট এলে মৃত্যুর সঠিক কারন জানা যাবে। তবে এই ঘটনায় শেরপুর থানায় একটা অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
আগস্ট ৩১.২০২১ at ২০:০৭:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/রইর/জআ