মদনে নিখোঁজ গৃহবধুসহ সন্ধান মিলেছে ৬ মাসের শিশু

নেত্রকোনা মদন উপজেলার পল্লীতে এক গৃহবধুসহ ৬ মাসের  শিশু নিখোঁজের সন্ধান মিলেছে। গাজীপুরে বাঘের বাজার থেকে মোবাইল ট্রাকিং দিয়ে ড্রাইভার আরিফের মাধ্যমে তাদের সন্ধান মিলে। সন্ধানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মদন  থানার ওসি তাওহীদুর রহমান। এর আগে নিখোঁজের সন্ধান চেয়ে স্বামী ও মেয়ের পরিবার পৃথক পৃথক থানায় জিডি এন্ট্রি করেন। (৮ আগষ্ট) বিকালে উপজেলার দক্ষিন বালালী গ্রাম থেকে নিখোঁজ হলে ১৪ আগস্ট তাদেরকে উদ্ধার করা হয়।

স্বামী পল্লব চৌধুরী জানান, আমার স্ত্রী মনিষা আক্তার বর্ষা ও আমার সন্তান কোথায় আছে আমার শশুর বাড়ির লোকজন তা আগে থেকেই জানত। তারা ইচ্ছা করে এমন একটি নাটক সাজিয়েছে। আমাদেরকে বিপদে ফেলার জন্যই তারা এমন নাটক সৃষ্টি করে। আমার বাড়িতে স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে এসে তারা বলে আমার মেয়ে ও আমার নাতীকে খুন করেছে। তারা আমার নামে থানায় একটি জিডিও করেছে। স্বামী পল্লব চৌধুরী আরো জানান, মেয়েটি যেদিন নিখোঁজ হয়েছিল তাদের গ্রামের সাকিব মির্জা নামে একটি ছেলের সাথে ১৭ বার তার মোবাইলে কথা হয়। বিষয়টি আমরা মোবাইল ট্রাকিং এর মাধ্যমে জানতে পারি। এর পরেও বিষয়টি নিষ্পত্তি করার জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যানদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হলেও ১৫ দিনেও কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় নি ।বিষয়টি নিয়ে খুবই চিন্তায় আছি, যে কোন সময় তারা আমার মেয়েরও ক্ষতি করতে পারে ।

আরো পড়ুন:

> মুক্তি পেয়েই ঝড় তুললো ‘জওয়ান’র নতুন গান
> যশোরে রাজহাঁস নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে লাইটের আঘাতে নারীর মৃত্যু

এ ব্যাপারে সাকিব র্মিজা জানান মেয়েটির সাথে বিয়ের আগে আমার সর্ম্পক ছিল, এখন আর  নেই। তবে ও আমার কাছে মোবাইলে ৪০ টাকা লোড চেয়েছিল প্রতিবেশী হিসেবে আমি তাকে  টাকাটা দিয়ে ছিলাম। ও আমার ফোনে কয়েকবার ফোন দিয়েছে কিন্তু আমি রিসিভ করিনি। দুই দিন পরে আমি জানতে পারলাম ও অন্য জায়গায় চলে গেছে। এর বেশি আমি কিছু জানি না ।

মেয়েটির ফুফাতো বড় ভাই আব্দুল কাইয়ুম জানান, মেয়েটিকে পাওয়া গেছে আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া। তাদের বিরুদ্ধে এখন আর কোন অভিযোগ নেই। কিছুদিন যাক পরে আমরা বিষয়টি নিষ্পত্তি করব। একটি মেয়েরতো বার বার বিবাহ হয় না। তবে নিজেরাই এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন বিষয়টি জানতে চাইলে এড়িয়ে যান। মেয়েটির বাবা ও মাকে না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নি। তবে স্ত্রী মনিষা আক্তার বর্ষা এ ব্যাপারে কিছু বলে নি।

ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান সামিউল হায়দার শফি জানান, বিষয়টি নিষ্পত্তি করার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। অচিরেই দুই পক্ষকে নিয়ে বসব।

মদন থানার ওসি তাওহীদুর রহমান জানান, মোবাইল ট্রাকিং করে আরিফ নামে একজন  ড্রাইভারকে দিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়। উভয় পক্ষই থানায় এসেছিল। পরে মেয়েটির  ফুফাতো বড় ভাই আব্দুল কাইয়ুম এর জিম্মায় দিয়েছি। বলেছি চেয়ারম্যানদেরকে নিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার জন্য।

আগষ্ট ৩০,২০২৩ at ১৬:১৭:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ্র/ইর