শিবগঞ্জে তিনশ মিটার রাস্তার কাজ, ধীর গতি যান চলাচল বিঘ্ন জন দূর্ভোগ

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা সদরের নাগর বন্দর হতে পৌরসভা গেট পর্যন্ত সড়কের বেহাল দশা। গত ৬ মাসেও শেষ হয়নি তিনশ মিটার রাস্তার কাজ। ধীর গতিতে রাস্তার কাজ চলায় জন সাধারণে চরম দূর্ভোগ। দু’দিনের ভারী বর্ষণের রাস্তা দিয়ে যান চলাচলের চরম জন দূর্ভোগ সৃষ্টি।

জানা গেছে এই রাস্তাটি বগুড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতায়। নাগর বন্দর থেকে পৌরসভা গেট পর্যন্ত সড়কে দীর্ঘদিন যাবৎ সড়ক ও জনপথ বিভাগ জনসাধারণের চলাচলের জন্য ইট দ্বারা সোলিং করে দিয়েছেন। এদিকে সড়ক বিভাগ জন সাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে আধুনিক মানের রাস্তা আরসিসি ঢালাই কাজ গত ছয় মাস পূর্বে নাগর বন্দর থেকে শুরু করেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় গত ছয় মাসে মাত্র তিনশ মিটার রাস্তা আর.সি.সি ঢালাই করছেন।

আরো পড়ুন :

> ঘরের সিঁড়িতে পরে ছিল ছাত্রদল সভাপতির মরদেহ, বৃষ্টিতে ভিজেছিলেন দীর্ঘসময়
> নাগেশ্বরীতে যুবলীগ নেতা সহ ৫ জুয়ারু আটক

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ধীর গতিতে কাজ করায় যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হওয়ায় চরম জনদূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে। এই উপজেলা সদর দিয়ে প্রতিনিয়ত পার্শ্ববর্তী রংপুর, জয়পুরহাট, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, লালমুনিরহাট সহ কয়েকটি জেলার যানবাহন বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের বিকল্প পথ হিসাবে যাতায়াত করে থাকেন। পাশাপাশি শিবগঞ্জ উপজেলার সাত ইউনিয়নের জন সাধারণ এই পথ দিয়ে চলাফেরা করে থাকেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে গত ছয় মাসে সড়ক বিভাগে মাত্র তিনশ মিটার রাস্তা আরসিসি ঢালাই কাজ করেছেন ২৪ ফিট প্রসস্থ রাস্তার ১২ ফিট ঢালাই করার পর কিছুদিন পর আবারও ১২ ফিট রাস্তার কাজ করে থাকেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। ফলে জন সাধারণকে আরো দূর্ভোগে পড়তে হয়।

এব্যাপারে বগুড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান বলেন, এই রাস্তার কাজ ৩জন ঠিকাদার পেয়েছেন, পর্যায়ক্রমে কাজ চলছে। জন দূর্ভোগের কথা বললে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত কাজ করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তৌহিদুর রহমান মানিক বলেন, জন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে ধীর গতিতে কাজ চলছে। এ কারণে জন সাধারণের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ রাস্তার কাজ দ্রুত সম্পন্ন হলে জন দূর্ভোগ লাঘব হবে বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে সিএনজি অটোরিক্সা চালক সাবলু মিয়া, অটো চালক বজলুর রহমান ও অটোভ্যান চালক মোস্তাক আহমেদ বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ এ ভাঙ্গা ও ইট সোলিং রাস্তা দিয়ে কষ্ট করে গাড়ী চালিয়ে আসছি। শুধু তাই নয় গত ৬ মাস যাবৎ এ রাস্তার কাজ শুরু হলেও তা ধীর গতিতে চলছে। ফলে দীর্ঘ সময় যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। তারা আরও জানান, কিছুদিনপূর্বে রাস্তার কাজ সম্পূর্নরূপে বন্ধ ছিলো।

আগস্ট ০৮, ২০২৩ at ১৯:০৪:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/সামি/ইর