এক সপ্তাহের ধর্মঘটে অসুস্থ ১২ জন

চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীদের অবস্থান ধর্মঘট পালন করছে গত সাত দিন ধরে। ধর্মঘটের সপ্তম দিনে ১২ জন কর্মচারী অসুস্থ হয়েছেন বলে জানা গেছে।

তবে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান ধর্মঘট চালিয়ে যাবেন বলে জানান অন্দোলনকারীরা।

আরো পড়ুন :

> সম্মিলনী মহিলা ডিগ্রী কলেজের উপাধ্যক্ষের বিদায় সংবর্ধনা
> গাঁজাসহ আন্তজেলা মাদক কারবারী আটক

রবিবার বিকাল সরেজমিনে দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন কর্মচারীরা। এর আগে, গত সোমবার সকাল নয়টায় এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা।

কর্মচারীরা জানান, গত সোমবার থেকে দিনরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান করেছেন তারা। ফলে তীব্র গরম ও মশার কামড়ে এখন পর্যন্ত ১২ জন কর্মচারী অসুস্থ হয়েছেন। যাদের মধ্যে অধিকাংশই জ্বর, সর্দি, কাশি ও হাপানিজনিত রোগে ভুগছেন। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাসায় অবস্থান করছেন। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের চাকরি স্থায়ী করার দাবি না মানা হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা অবস্থান ধর্মঘট চালিয়ে যাবেন বলে জানান।

তাদের ভাষ্যমতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমানে ১৪২ জন দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী আছেন। তারা আগে দিনপ্রতি ৩৩০ টাকা মজুরি পেতেন, যদিও পরে আন্দোলনের প্রেক্ষিতে তাদের মজুরি ৪০০ টাকা করা হয়। তবে তারা দৈনিক মজুরির বাইরে কোন বোনাস বা ইনক্রিমেন্ট পান না। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন হলগুলোতে তাদের অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও নতুন কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে গত মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম, সাবেক উপাচার্য ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবিরসহ অন্য শিক্ষকরা কর্মচারীদের সাথে কথা বলেন। তখন তারা কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণের ব্যাপারে মৌখিক আশ্বাস দেন। এছাড়া আগামী ২৮ জুলাই পর্যন্ত সময় চান। তবে মৌখিক আশ্বাসে অবস্থান ধর্মঘট বন্ধ করেননি কর্মচারীরা।

বেগম সুফিয়া কামাল হলের নিরাপত্তারক্ষী মোহাম্মদ রনি হাওলাদার বলেন, ‘আমাদের চাকরি স্থায়ী না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন হলগুলোতে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীদের মধ্য থেকে নিয়োগ দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। তবে মাত্র তিনজনকে সেখানে নিয়োগ দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আশ্বাস দেয় কিন্তু সেই আশ্বাস বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেয় না। তাই এবার একটাই নীতি, ‘চাকরি অথবা মৃত্যু’।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম বলেন, ‘দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীদের মধ্যে পাঁচজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন হলে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ইউজিসি থেকে যে পদগুলো দিয়েছে, সেখানে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীদের অনেকের যোগ্যতা মিলছে না। তাই সবার চাকরি স্থায়ী করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে ইউজিসি থেকে পদ পাওয়া সাপেক্ষে তাদের চাকরি স্থায়ী করার চেষ্টা করবো।’

জুলাই ২২, ২০২৩ at ২১:১৪:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/নাউ/ইর