গাজীপুরে ছাত্রদল সভাপতির নারী কেলেংকারী, স্ত্রীর মর্যাদা পেতে স্বামীর বাড়িতে স্ত্রী’র অনশন

গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীর ৫৩ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের বর্তমান সভাপতি ফারুক বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মেয়েদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে করেন শারীরিক সম্পর্ক। একাধিক মেয়ের জীবন নষ্ট করে সব শেষে সম্পর্ক করে এলাকার নিরিহ মেয়ে নদী আক্তার এর সাথে। ছাত্রদল সভাপতি প্রেম ও বিয়ের ফাঁদে ফেলে নষ্ট করে নারীদের জীবন।

শনিবার(২২জুলাই) বেলা ১২টা থেকে টঙ্গীর বড়দেওরা পুরাতন মসজিদ রোড এলাকায় স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে ফারুক নামের এক ব্যাক্তির বাসায় অনশন শুরু করেছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নদী নামের গৃহবধু।

আরো পড়ুন :

> পাবনায় কৃষি ফার্ম শ্রমিকদের ১৩ দফা দাবিতে মানববন্ধনও বিক্ষোভ মিছিল
> পাঁচবিবিতে বিদেশী পিস্তল ও  ২ রাউন্ড গুলিসহ গ্রেফতার-২

প্রেমের ফাদে ফেলে বিয়ের পর নদী কে নিয়ে পূবাইল বাসা ভাড়া নিয়ে ৪ মাস সংসার করেন এই ছাত্রদল নেতা। নদীর জমানো টাকা জোর করে নিয়ে সংসার চালাতো ফারুক। যখন নদী আর টাকা দিতে রাজী হয় না তখনই বাধে বিপত্তি। শুরু হয় যৌতুকের জন্য নির্যাতন। মোটা অংকের যৌতুক না দিলে ছেলের দাদা দাদী, বাবা মা কোন ভাবেই এই বিয়ে মেনে নিবে না।

জানা যায়, ওমর ফারুক টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন বড়দেওরা পুরাতন মসজিদ রোড এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে। জান্নাতুল ফেরদৌস তার স্বামীর বাড়িতে স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে শনিবার বেলা ১২টায় স্বামীর সাথে দেখা করতে আসলে পরিবারের লোকজন তার স্বামীকে কৌশলে বাড়ি থেকে বের করে দেয় ও জান্নাতের উপর নির্যাতন শুরু করে। এক পর্যায়ে জান্নাত তার জীবন বাঁচাতে ৯৯৯ ফোন করলে টঙ্গী পশ্চিম থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক(এসআই) শরিফ হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।

পুলিশ, স্থানীয় লোকজন এবং সাংবাদিকরা ঘটনার বিষয় জানতে চাইলে এলাকাবাসী ও জান্নাতের শশুর বাড়ির লোকজন জানান, এই বিষয়টি নিয়ে থানায় মীমাংসার জন্য বসা হয়েছিল। অতি দ্রুত সময়ে আমরা বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য স্থানীয় নেতৃবৃন্ধের সাথে আলোচনা করে সমাধান করব বলে ফারুকের পরিবার অঙ্গীরকার করেন।

নদী জানায়, বিভিন্ন প্রলোভন দেখিইয়ে ফারুক করেন শারীরিক সম্পর্ক, এক পর্যায়ে আমার আকুতি মিনতিতে বিয়ে করে ফারুক। আমি যখন বুঝতে পারি অন্য মেয়েদের মতো আমার জীবন ও ধংস্ব করে দিবে ফারুক তখন আমি শশুড়বাড়ী যাওয়ার জন্য ফারুক কে অনুরোধ করি ।

জুলাই ২২, ২০২৩ at ১৩:২০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ্র/ইর