বগুড়ার শিবগঞ্জের ঐতিহাসিক মহাস্থান মাজার জিয়ারত করতে এসে প্রাইভেট কার চুরি, ৪ ঘন্টা পর প্রাইভেট কার উদ্ধার করেছে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বেলা ১১টায় মহাস্থান মাজার এলাকায়। যাহার নং- ঢাকা মেট্রো-খ ১২-৪৩৬৫।
গাইবান্ধা থেকে আসা জিয়ারতকারীরা জানান, গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার চন্ডিপুর গ্রামের মজিবর রহমান এর ছেলে লেবু মিয়া তার মেয়ের মানত শোধ করার জন্য শুক্রবার ১১টার দিকে ১টি বাস গাড়ী ও একটি প্রাইভেটকার নিয়ে মহাস্থান হযরত শাহ সুলতান বখলী (রঃ) মাজার এলাকায় আসেন। তারা মাজার এলাকার ঈদগাহ মাঠে বাস ও প্রাইভেটকারটি গ্যারেজ করে রান্নার কাজে ব্যস্ত হয়। কিছুক্ষন পর প্রাইভেট কার এর মালিক সাইদুল মাতন ঈদগাহের মাঠে এসে দেখতে পায় প্রাইভেট কারটি নেই। তিনি তাৎক্ষনিক মাজার কমিটি ও গ্যারেজ এলাকায় দায়িত্বরত ব্যক্তিদের বিষয়টি জানান।
খবর পেয়ে শিবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রউফ নেতৃত্বে পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের মহাস্থান বাজার মাংসপট্টি এলাকা থেকে চুরি যাওয়া প্রাইভেট কারটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। প্রাইভেট কার এর মালিক সাইদুল মাতন বলেন, আমার বন্ধুর মেয়ের জন্য মহাস্থান মাজার জিয়ারত করতে এসেছি। আমি গাড়ীটি ঈদ গাহ মাঠে পার্কিং করে আমিসহ আমাদের লোকজন রান্নার কাজে যাই। কিছুক্ষণ পরে ফিরে এসে দেখতে পাই যে, আমার প্রাইভেটকারটি নেই। আমি তাৎক্ষনিক মাজার কমিটিকে বিষয়টি জানিয়েছি। পুলিশ মাইক্রোবাসটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে।
এ বিষয়ে মহাস্থান প্রতœতাত্তি¡ক জাদুঘর এর কাস্টোডিয়ান রাজিয়া সুলতানার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মাজার এলাকায় গ্যারেজ করার সময় কোন গাড়ী এন্ট্রি করা হয়না। আমার মনে হয়, প্রাইভেটকারটি গাড়ীর লোকজন অন্যত্র রেখেছিলো। গাড়ীর মালিক গাড়ী হারানো বিষয়ে কমিটিকে জানানো বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রাইভেটকারটি হারানোর বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি।
এব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রউফ বলেন, মাইক্রোবাসটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সন্ধ্যা ৭টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রাইভেটকার ও জিয়ারতকারীরা শিবগঞ্জ থানায় অবস্থান করছেন।
জুলাই ২১, ২০২৩ at ২০:৩৭:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/সামি/শাস
