জাবির ডেপুটি রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে বাড়ী দখলের অভিযোগ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ডেপুটি রেজিস্ট্রার তারিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনৈতিকভাবে বাড়ী দখলের অভিযোগ করেছেন তার বড় ভাইয়ের মেয়ের স্বামী রফিকুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকাল ৩টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (জাবিসাস) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ তুলে ধরেন তিনি। সাথে উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগীর স্ত্রী, শ্বশুর ও চাচা শ্বশুর।

আরো পড়ুন :

> বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে পাবনায় উপজেলা ও পৌর আ.লীগের শান্তি সমাবেশ
> কাজিপুরের মাধ্যমিক শিক্ষকগণ আন্দোলন ও ঘর সামলানো দুটোয় আছেন

লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম বলেন, সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানাধীন ইসলামনগর এলাকায় ২০০৪ সালে ১৬২৬০ নম্বর দলিলে ৫ শতাংশ জমি ক্রয় করি। বাড়ীর কাজ শুরুর দিকে আমার স্ত্রীর আপন ছোট চাচা জাবির ডেপুটি রেজিস্ট্রার তারিকুল ইসলাম আমাদের সাথে শেয়ারে ভবন নির্মানের প্রস্তাব দেন। এতে উভয়পক্ষের সম্মতিতে ২০২০ সালে ৫০ শতাংশ শেয়ারে আমাদের উভয়ের মধ্যে ঘরোয়া আপস বন্টননামা দলিল হলে চুক্তি অনুযায়ী ৬তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মানের কাজ শুরু হয়। এরমধ্যে ভবন নির্মাণ ব্যায়ের খরচের জন্য নিজের ভাগের টাকা বুঝিয়ে দিয়ে কর্মস্থল জার্মানিতে চলে যাই। সম্প্রতি ভবনের নির্মানকাজ সম্পন্ন হলে দেখা যায় ভবনের নির্মানকাজ সম্পন্ন হলেও চুক্তি অনুযায়ী অধিকাংশ শর্ত ভঙ্গ করে আমার অংশটুকুও নিজের দখলে রাখেন তরিকুল ইসলাম। আমি নিজের অংশ বুঝে নিতে পরিবারসহ দেশে আসলে সম্পত্তি বুঝিয়ে না দিয়ে উল্টো আমার কাছে প্রায় দেড় কোটি টাকা দাবী করেন। চুক্তি ভঙ্গের বিষয়টি এড়িয়ে আমার সম্পত্তি আত্মসাতের লক্ষ্যে আমার ও আমার শ্বশুর বাড়ীর অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরসহ বিভিন্নভাবে হয়রানী করতে থাকে সে।

তিনি আরো বলেন, বাড়ি নির্মানের পূর্বে তাজ-মহল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড আর্কিটেকচার কনসাল্টস লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে মাটি পরীক্ষা ও খরচের বরাদ্দ করিয়ে নিয়েছি। যেখানে ছয় তলার ফাউন্ডেশন ও ছাদ নির্মান বাবদ খরচ ধরা হয় ৭৩ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা। অথচ তারিকুল ইসলাম পুনরায় পরে অন্য একটি ফার্ম থেকে বরাদ্দের হিসাব করিয়ে নেন ২ কোটি টাকার উপরে। এখন সে অবৈধভাবে আমার থেকে বিভিন্ন খরচ বাবদ দেড় কোটি টাকা দাবি করছে। অন্যথায় আমার বাড়ির কাজ সম্পন্ন করতে দিবেন না বলে হূমকি দেন। আমি যেনো বাড়ির কাজ করতে না পারি সে জন্য কেচি গেইট তালা দিয়ে রেখেছে এবং পথে দেয়াল নির্মান করে রেখেছে।

লিখিত বক্তব্য শেষে তিনি আরো জানান, ভবনের অর্ধেক কাজ শেষ করে তারিকুল ইসলাম সেখান থেকে ভাড়া নিচ্ছেন অথচ চুক্তি অনুযায়ী সেখানের একটা ফ্লাট আমার কিন্তু আমাকে কোনো ভাড়ার টাকা দেয়নি। এমনকি পূর্বের যে গ্যাসের লাইন ছিলো সেটা দুই পক্ষ ভাগ করে নেওয়ার কথা থাকলেও সে একাই আমার আরেক চাচা শশুর থেকে মালিকানা নিয়ে নিয়েছে। অথচ আমি ২০১২ সাল থেকে গ্যাসের পুরো বিল দিয়ে আসছিলাম।

এবিষয়ে তারিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তাদের হাতে টাকা দিয়েই জমি নিয়েছি। আমাদের চুক্তি ছিলো বাড়ি নির্মান বাবদ খরচ দুই পক্ষই অর্ধেক করে বহন করবে। অথচ আমিই পুরো টাকা দিয়ে বাড়ি নির্মান করেছি, যেখানে ২ কোটি ৪ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। তার অর্ধেক টাকা আমাকে বুঝিয়ে দিলে আমিও সবকিছু বুঝিয়ে দিয়ে দিবো। আমাকে টাকা না দেওয়ার জন্য তারা বিভিন্ন ভাবে ফন্দী করছে। আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে।

জুলাই ১৮, ২০২৩ at ২০:৫৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ্র/ইর