মধ্যরাতে ইবির চিকিৎসা কেন্দ্র ভাঙচুর, তিন শিক্ষার্থী বহিষ্কার

মধ্যরাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) চিকিৎসা কেন্দ্রে ভাঙচুরের ঘটনায় তিন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার (১৫ জুলাই) বেলা ১১টায় ভিসির সভাকক্ষে ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

বহিস্কৃতরা হলেন- আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্য ও একই বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের আতিক আরমান এবং সালমান আজিজ।

আরো পড়ুন :

> বেনাপোল পৌর নির্বাচনে নৌকা মার্কার গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে 
> ইবিতে ছাত্রী নির্যাতন: অভিযুক্তদের সঠিক বিচার হয়নি ফুলপরী

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় চিকিৎসা কেন্দ্রে ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্ত রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্যসহ তার অপর দুই সহযোগীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে৷ মাননীয় উপাচার্যের সভাকক্ষে ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় উপাচার্যকে তদন্ত কমিটি গঠনের ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত ১০ জুলাই রাত সাড়ে ১১টায় চিকিৎসা কেন্দ্রের জরুরি বিভাগে ভাঙচুরের করা হয়। সেউ ঘটনায় পরবর্তীতে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিফ মেডিক্যাল অফিসার। চিকিৎসা কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, ভাংচুরের রাত সাড়ে ৯ টায় বুকের ব্যথার জন্য চিকিৎসা কেন্দ্রে যান রেজওয়ান সিদ্দিকি কাব্য। তাৎক্ষণিক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর আবার চিকিৎসা কেন্দ্রে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে চিকিৎসা নিতে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে যেতে চান কাব্য। অ্যাম্বুলেন্স দিতে দেরি হওয়ায় কাব্য ক্ষিপ্ত হয়ে মেডিকেল সেন্টারের জরুরি বিভাগে ভাংচুর চালায় ও অ্যাম্বুলেন্স চালকের সাথে খারাপ ব্যবহার করে এবং তাকে মারধর করে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের জুলাইয়ে মহাসড়কে ছিনতাই ও ক্যাম্পাসে অস্ত্রসহ মহড়া দেয়ার অভিযোগে কাব্যকে আটক করে পুলিশ। সেসময়ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কাব্যকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

জুলাই ১৫, ২০২৩ at ১৮:৪০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ্র/ইর