কুড়িগ্রাম-৪ আসনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে চিলমারীর রহিমুজ্জামান সুমন

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে কুড়িগ্রাম-৪ (চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুর) আসনের মাঠ পর্যায়ে নৌকা প্রতিকের প্রচারনায় এবং জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছেন চিলমারী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রহিমুজ্জামান সুমন। এমন টাই মনে করছেন সাধারণ জনগন। এখন আওয়ামীলীগ থেকে নৌকা প্রতিক মনোনোয়ন পেলেই নির্দিধায় বিজয়ী হবেন বলেও আলোচনায় ওঠে এসেছে। চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুরে নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ পর্যায়ে নৌকা প্রতিকের প্রচারণা শুরু করেছেন রহিমুজ্জামান সুমন। ইতিমধ্যে নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচনী প্রচারণা এবং জনসংযোগ করে যাচ্ছেন তিনি। গ্রাম থেকে গ্রামে এখন মানুষের আলোচনায় ওঠে এসেছেন এই আওয়ামীলীগ নেতা।

এদিকে চায়ের কাপে জমে ওঠেছে নির্বাচনী আলোচনা-সমালোচনা। মাঠ পর্যায়ে আশানুরুপ সাড়া পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন নৌকা প্রতিক মনোনয় এই প্রার্থী । তিনি জানিয়েছেন কুড়িগ্রাম-৪ আসনের জন্য তিনি যোগ্য ও নির্ভরযোগ্য প্রার্থী। তবে এটা তাঁর মুখের কথা নয়, মাঠ পর্যায়ে জনগনেরই কথা।
আরো পড়ুন :

> দেবে গেছে ৬৮১ কোটির বেড়িবাঁধ
> অস্থির বাজার, বেপরোয়া সিন্ডিকেট

চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুল জলিল বলেন, রহিমুজ্জামান সুমন কে যদি দল থেকে নৌকা প্রতিক দেয়া হয় তাহলে এই আসনে খুব সহজেই পাশ করবেন। কারণ তিনি ক্লিন ইমেজ ব্যক্তিত্ব। তাঁর রাজনীতিতে কোন ধরণের চাঁদাবাজি কিংবা অন্যায় ভাবে কারো সাথে বিরোধে জড়ানো। এমন অভিযোগ নেই তাঁর বিরুদ্ধে। তাই বর্তমান সমাজের জন্য তরুণ প্রজন্মের আইকন হিসেবেও ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন সুমন।

কুড়িগ্রাম-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রত্যাশী তৃণমূল রাজনীতিতে পরীক্ষিত নেতা। তাকে ঘিরে নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত। ছাত্র রাজনীতির মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে হাতেখড়ি। আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথের লড়াকু সৈনিক হিসেবে তিনি পরিচিত। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড তাকেই মনোনীত করবে বলে আশাবাদী তিনি ও তার সমর্থকরা।

রমনা মডেল ইউনিয়নের বাসিন্দা মাজেদুল ইসলাম বলেন, উত্তর অঞ্চলের মধ্যে সব চেয়ে দরিদ্রতম জেলা আমাদের কুড়িগ্রাম আর সেই জেলার চিলমারী উপজেলা আরো দরিদ্র এই এলাকার বেশ কিছু রাস্তা ঘাট এখনো পাকা হয়নি। আমদের এই উপজেলায় উন্নয়নের জন্য আমাদের জায়গার ছেলে সুমনের খুব দরকার তাছাড়া সুমন কে আমরা ছোট বেলা থেকেই খুব ভালো জানি।

প্রার্থী রহিমুজ্জামান সুমন বলেন, আমি ছাত্র জীবন থেকে আওয়ামীলীগের রাজনীর সাথে জড়িত। আজ পর্যন্ত কেউ বলতে পারবে না দলে নাম ভাঙিয়ে একটি টাকাও চাঁদা বাজী করেছি বা খেয়েছি। বরং দলের জন্য নিজে পরিশ্রমের টাকা খরচ করেছি। দল আমাকে কি দিলো সেটা ভাবি না, আমি দল কে কি দিবো সেটাই বড় কথা। মানুষের বিপদে আপদে স্কুল জীবন থেকেই পাশে দাড়িয়েছি। দীর্ঘ এই রাজনৈতিক সময়ে কোথাও গিয়ে চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজী, অবৈধ কোনো কার্যকলাপে জড়িত হইনি। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে রাজনীতি করি। চিলমারীতে বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য যদি কেউ কাজ করার চিন্তা ভাবনা করে থাকেন তাহলে তাদের বিন্দু পরিমান ছাড় দিতে রাজি নই আমি। তিনি আরও বলেন, আমি এখন মনে করি আওয়ামীলীগ থেকে আমাকে নৌকা প্রতিক মনোনয় দেয়া হলে খুব সহজভাবেই এই আসনে নৌকা জয় পাবে ইনশাআল্লাহ।

জুলাই ০৫, ২০২৩ at ১২:০৪:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ্র/ইর