জাবির ৮ ছাত্রলীগ নেতার নামে হত্যাচেষ্টা মামলা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ ছাত্রলীগ নেতার নামে ঢাকার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং. সি আর ৬৮৫/২৩ । গত ১৬ ও ১৭ই মে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সালাম-বরকত হলের অতিথি কক্ষে ছাত্রলীগের হাতে নির্যাতিত সায়েম হাসান সামি বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। যার একটি কপি প্রতিনিধির কাছে এসেছে।

মামলার কপি অনুসারে দন্ডবিধি ১৪৩, ৪৪৭, ৩২৩, ৩০৭, ৩৩০, ৩৪১, ৩৪২, ১১৪, ৩৪, ৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৭ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মাবরুক আল ইসলাম জোয়াদ, পিতা মনোয়ার হোসেনকে প্রধান আসামী করে এই মামলা দায়ের করা হয়। জোয়াদ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। তবে জোয়াদের পিতা মনোয়ার হোসেন নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার বিএনপি’র সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন।

মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন, আইন ও বিচার বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগে তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আকিব শাহরিয়ার সিজান, বাংলা বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী আসিফ হোসাইন (আকাশ), একই ব্যাচের সাংবাদিকতা ও গনযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের কার্যকরী সদস্য তানভীর হাসান রাব্বি, পরিসংখ্যান বিভাগের ৪৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাজ্জাদ কবির ও রাতুল রায় ধ্রুব, দর্শন বিভাগের ৪৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম রিয়াদ, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মহিবুর আলম মৃন্ময়।

আরো পড়ুন :
> বারহাট্টায় জুয়া খেলারত অবস্থায় ৪ জুয়ারী গ্রেফতার
> বর্তমান সরকার আমলে ক্রীড়াঙ্গন উজ্জীবিত হয়েছে বলেই যুবসমাজ হয়েছে মাদকমুক্ত : অ্যাড. নুরুল আমিন রুহুল এমপি

এদিকে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে অভিযোগের তদন্তের আদেশ দিয়েছেন। ১৪ আগস্টের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সামির আইনজীবী নাইমুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, ঢাকার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত -৩ এ মামলাটি দায়ের করা হয়। পরবতীতে ঢাকার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত -৪ এ মামলাটি স্থানান্তর করা হয়। মামলার তদন্তসহ সামগ্রিক পরিচালনায় বিশ^বিদ্যালয়ের প্রক্টর মহোদয়কে সহায়তা করতে বলা হয়েছে।

নির্যাতনের ঘটনায় ভুক্তোভোগী সামি ২২শে মে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর তিনি লিখিত অভিযোগ দেন। ওই লিখিত অভিযোগে বলা হয়, গত ১৬ই মে কানে অস্ত্রোপচারের কারণে গেস্টরুমে না যাওয়ায় ভুক্তোভোগী সামিকে মারধর করা হয়। পরদিন হল ছেড়ে দিতে চাইলে আবারও গেস্টরুমে ডেকে নিয়ে তাকে মারধর করেন অভিযুক্তরা। সেখানে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত জোর করে এমন স্বীকারোক্তি নিতে চেষ্টা করেন। অভিযুক্ত আকিব মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ধরেন। নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিচয় দেয়ায় অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্তরা পকেটে ইয়াবা বড়ি ও আগ্নেয়াস্ত্র ঢুকিয়ে মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করেন।

ভুক্তভোগী সায়েম হাসান সামি বলেন, ‘আমাকে নির্যাতন করে ৬৩ ঘণ্টা নজরবন্দি করে রাখা হয়েছিল। রুমে আটকে রাখা হয়েছিল। জোর করে মিছিলে নিয়েছে। আমি ক্যাম্পাসে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি এর বিচার চাই।’

জুন ১৭, ২০২৩ at ২১:৩৬:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/নাউ/মেমহ