বগুড়ায় ভুয়া ইউএনও সহ গ্রেপ্তার-২

বগুড়া জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের অভিযান ভুয়া ইউএনও পরিচয় অর্থ হাতিয়ে নেওয়া চক্রের মূলহোতা তুহিন (৩৫) সহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ১২ জুন সোমবার বেলা সাড়ে ১২ টায় বগুড়া জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ইনচার্জ সাইহান ওলিউল্লাহ।
তিনি জানান, গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলাট গাছাবাড়ী পশ্চিমপাড়া এলাকা সোমবার (১২ জুন) অভিযান পরিচালনা করে ভোর ৪ টার দিকে বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে আমির উদ্দিনের ছেলে তুহিন মিয়া (৩৫) ও একই এলাকার ১৬ বছর বয়সী এক শিশুকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানিয়েছে তারা দীর্ঘদিন যাবত পরস্পরের যোগসাজসে বিভিন্ন সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে এই রকমের প্রতারণা করে আসতেছিল।

আরো পড়ুন :

> পাঁচবিবিতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে এক সন্তানের জননীর আত্মহত্যা
> বিয়ের প্রলোভনে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, প্রবাসীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

আসামি তুহিন সর্বশেষ বগুড়া শহরের উপশহর এলাকায় গত ৭ জুন জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে বগুড়ার সদর থানার ডিউটি অফিসারের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে। এরপর সদর থানার ডিউটি অফিসারের সরকারী মোবাইল নাম্বারে কল করে নিজেকে বগুড়া সদর উপজেলার ইউএনও পরিচয় দিয়ে জানায় সে সমস্যা পরেছে এই কারনে জরুরী ডিউটি পার্টিকে তার সাথে কথা বলতে বলে। ডিউটি অফিসার সরল মনে উপশহর ফাড়ির এক অফিসারের নাম্বার ইউএনও পরিচয়কারী আসামি তুহিনকে দিয়ে দেয়। আসামি তুহিন উপশহর ফাড়ির ওই অফিসার কে উপশহর এলাকায় একটি হোটেলে যেতে বলে এবং সেই হোটেলের মালিকের সাথে ফোনে কথা বলিয়ে দিতে বলে। এরপর পুলিশে হোটেল গিয়ে আসামি তুহিনের সাথে হোটেল মালিক কে কথা বলিয়ে দেয়। আসামে তুহিন ওই হোটেল মালিককে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি দেখিয়ে হোটেল বন্ধ করার হুমকি প্রদান করে বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণা ১০০০০ টাকা হাতিয়ে নেয়। একই কায়দায় আরেকজন হোটেল মালিক রবিউলের কাছ থেকে ৬০০০ টাকা হাতিয়ে নেয়।
বগুড়া জেলা গোয়েন্দা শাখার ইনচার্জ সাইহান ওলিউল্লাহ জানান, আসামী তুহিন একজন পেশাদার প্রতারক সে দীর্ঘদিন যাবত দেশের বিভিন্ন জেলায় এভাবেই প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে । এছাড়া তারা মোবাইল ফোনে ইউএনও, ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ অফিসার, ইউনিয়ন পরিষদের সচিবসহ বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নাম ও পদবী ব্যবহার করে তাদের প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার সহজ হয়।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের কাছে থেকে ৩টি বাটন ও ১টি স্মার্ট মোবাইল ফোন সীম কার্ডসহ (যাহা অপরাধ কর্মে ব্যবহৃত) জব্দ করা হয়েছে। আসামি তুহিন মিয়ার বিরুদ্ধে এর আগেও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ১টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

জুন ১২, ২০২৩ at ১৬:৪০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ্র/ইর