ভূঞাপুর পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তাহমিনা তাবাসতুমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তাহমিনা তাবাসতুমের সাথে কথা বললে পরিবার কল্যাণ সহকারিদের সাথে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগও রয়েছে।

এ বিষয়ে গত ২২ মে পরিবার কল্যাণ সহকারিরা জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। এছাড়াও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিচালক প্রশাসন, ভূঞাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগের অনুলিপি জমা দিয়েছেন।

আরো পড়ুন :

> ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচন ১৭ জুলাই
> কুবিতে জুনিয়রদের মিছিলে যেতে বাধ্য করছে ছাত্রলীগ

লিখিত অভিযোগ ও পরিবার কল্যাণ সহকারিরা জানান, ভূঞাপুর উপজেলায় পরিবার কল্যাণ সহকারি পদে ৩১ জন দায়িত্ব পালন করছেন। তাহমিনা তাবাসতুম ২০২১ সালের ২১ অক্টোবর থেকে ভূঞাপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পরিবার কল্যাণ সহকারিদের অভিযোগ, তাহমিনা তাবাসতুম যোগদানের পর থেকে টাঙ্গাইল পরিবার পরিকল্পনা অফিস ও উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিস এবং অডিট খরচ বাবদ এর নাম ব্যবহার করে মাঠ পর্যায়ে কর্মচারিদের কাছ থেকে নানারকম আর্থিক দুর্নীতি করছেন। এছাড়াও তাদের সাথে দুর্ব্যবহারও করেন।

গত বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসের পরিবার কল্যাণ সহকারিদের উঠান বৈঠকের বিল প্রতি জনের এক হাজার ২০০ টাকা পাওনা থাকা সত্ত্বেও তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এছাড়াও ওই ছয় মাসের পরিবার কল্যাণ সহকারিদের স্টেশনারী বিভিন্ন মালামাল এবং ফটোকপি বাবদ জন প্রতি ৫০০ টাকা পাওনা থাকা সত্ত্বেও তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এ বিষয়ে বারবার সাক্ষাত করে কথা বলার পরেও বিল হবে না বলে পরিবার কল্যাণ সহকারিদের সাথে খারাপ আচরণ করেন।

তারা আরও অভিযোগ করেন, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা উপজেলায় যোগদানের পর হতে মাঠ কর্মচারিদের ভ্রমণ ভাতা হতে ৪০-৫০ শতাংশ টাকা আদায় এবং অন্যান্য সকল ভাতা হতে বাড়তি মোটা অংকের উৎকোচ জোড়পূর্বক আদায় করেন। তিনি যোগদানের পর হতে মাঠ পর্যায়ে কর্মচারিদের নামে বরাদ্দকৃত জিনিসপত্র ও মালামাল আজ পর্যন্ত কিছুই বুঝিয়ে দেননি। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসে চার জন অফিস সহকারি থাকা সত্ত্বেও ফলদা ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মো. রেজাউল করিমকে উপজেলায় দাপ্তরিক কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। এই অজুহাতে তার নিজ কর্ম এলাকায় নিয়মিত না গিয়ে বেশিরভাগ সময় উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসে অবস্থান করে থাকেন।

পরিবার কল্যাণ সহকারি নাজমিন নাহার ও আয়শা সিদ্দিকী বলেন, আমাদের পাওয়া টাকা বুঝে পাওয়াসহ সম্মানের সাথে চাকরি করতে চাই। আমার অনেক বয়স হয়েছে, তারপরও তিনি পরিবার কল্যাণ পরিদর্শকদের দিয়ে উল্টোপাল্টা কথা বলিয়ে থাকেন। আমরা এর বিচার দাবি করছি।

ভূঞাপুর উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) তাহমিনা তাবাসতুম বলেন, হিসাব রক্ষকের অবসর জনিত কারণে তাদের জুলাই থেকে ডিসেম্বরের বিল বাদ রয়েছে। এছাড়াও দুর্ব্যবহারসহ যত অভিযোগ রয়েছে সবই মিথ্যা ও বানোয়াট।

মে ৩১, ২০২৩ at ১৬:৩২:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মাহামা/ইর