ডেঙ্গু ও এডিস মশার লাভা নিয়ে ডিএনসিসির মশক নিধন কর্মীদের ধান্দাবাজি

ছবি- সংগৃহীত।

ডেঙ্গু ও এডিস মশার লাভা নিয়ে ধান্দাবাজিতে মেতেছে ডিএনসিসির কিছু সংখ্যক মসক নিধন কর্মী। অভিযোগ উঠেছে ডিএনসিসির নবগঠিত উত্তরখান ও দক্ষিণখান এলাকায় অধিকাংশ জায়গা খাদাখন্দকে ভরা। এলাকা গুলোতে পয়নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় অল্প বৃষ্টিতেই পানি জমে যায় খালি জায়গায়।

কতিপয় মশক নিধন কর্মীরা এই সকল খালি প্লটের মালিকদের নাম্বার সংগ্রহ করে এবং আশেপাশে বাড়ি ঘরের লোকজনকে এডিস মশার লাভা আছে বা ডেঙ্গুর লাভা রয়েছে বলে বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

আরো পড়ুন :
> নড়াইলে ইজিভ্যান চালককে হত্যা ছিনতাইকৃত ভ্যান পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার
> পরিবহণ শ্রমিকের আলিশান বাড়ি!

ঔষধ প্রয়োগের পরিবর্তে তারা নাগরিকদের বিভিন্নভাবে অফিস থেকে ইন্সপেক্টর বা উপরস্থ কর্মকর্তাদের নিয়ে এসে জরিমানা করবেন বলে হুমকি ধামকি প্রদান করেন। অনেকেই ভয়ে তাদের সাথে না বুঝে বিষয়টি গোপন রাখার জন্য অনৈতিক লেনদেন করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

ডিএনসিসির কিছু বাসিন্দারা মনে করেন যেখানে নাগরিক সুবিধাই পেলাম না সেখানে আবার জরিমানা গুনতে হবে কেন? যদি বাসার ভিতরে এই ধরনের লাভা পাওয়া যেত তাহলে জরিমানা করাটা যুক্তিযুক্ত ছিল।

এমনই ঘটনার মুখোমুখি হতে হয় উক্ত প্রতিবেদককে গতকাল সোমবার আনুমানিক সকাল ৯ ঘটিকার সময় ডিএনসিসির ৪৭ নং ওয়ার্ডের হাজী বিল্লাআলী স্কুল রোডের সামনে খালি প্লটে পানি জমে থাকায় সামনের বাড়িওয়ালার কাছে মেহেদী হাসান নামে একজন মশক নিধন কর্মী খালি প্লটের মালিকের নাম্বার চায় নাম্বার নেই বলে জানালে উক্ত মশক নিধন কর্মী তার বাসার পাশে ডেঙ্গু ও এডিস মশার লাভা আছে বলে অভিযোগ তোলেন। তাকে ওষুধ দিয়ে যেতে বলায় তিনি বলেন আগে সিটি কর্পোরেশনে অভিযোগ করে জরিমানার ব্যবস্থা করব তারপর ওষুধ প্রয়োগ করব।

পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে ডিএনসিসির ৪৭ নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মোতালেব হোসেনের সাথে টেলিফোনে কথা হয় উক্ত প্রতিবেদকের তিনি বলেন পানি জমে থাকলে অপসারণ এর জন্য পরিছন্নতা কর্মীদের একটি দল পাঠানো হবে এবং মশক নিধন কর্মীকে তিনি নির্দেশ দেন ওষুধ প্রয়োগ করার জন্য। মেহেদী হাসান যাওয়ার সময় বাড়িওয়ালাকে ধমকের সুরে বলে আমরা ভেসে আসিনি ইচ্ছে করলে জরিমানার ব্যবস্থা করতে পারি। তার ব্যবহারে বাড়িওয়ালা বিব্রত কর পরিস্থিতিতে পড়েন।

এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে আমাদের ট্যাক্স ভ্যাটের অর্থ দিয়ে যাদের বেতন হয় তারা কিভাবে রাষ্ট্রের নাগরিকের সাথে এ ধরনের আচরণ করতে পারে। উত্তরখান ও দক্ষিণ খানের বাসিন্দারা এই ধরনের হয়রানি থেকে মুক্তির জন্য মাননীয় মেয়রের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

জরিমানার বিষয়ে টেলিফোনে কথা হয় ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া আফরিন এর সাথে। তিনি উক্ত প্রতিবেদককে জানান জরিমানার বিধান রয়েছে। তিনি বলেন অঞ্চল সাত এর দায়িত্ব পেয়েছি দেড় বছরের মত এই পর্যন্ত কাউকে জরিমানা করিনি তবে অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতেছি।

মে ৩০, ২০২৩ at ১৬:৩৭:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মোরইমি/ইর