সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের সত্যতা মেলেনি

দোকান বরাদ্দের কথা বলে ৩৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পায়নি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গত ৮ এপ্রিল তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক এ জেড এম মনিরুজ্জামান আদালতে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

বুধবার (১৭ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত এ প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলাটি খারিজ করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদার, সাবেক উপসহকারী প্রকৌশলী মাজেদ, কামরুল হাসান, হেলেনা আক্তার, আতিকুর রহমান স্বপন ও ওয়ালিদ।

২০২০ সালের ২৯ ডিসেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মার্কেটের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দুলু মামলাটি করেন। পর দিন ৩০ ডিসেম্বর আদালত মামলাটির অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের পিবিআইকে নির্দেশ দেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, সাঈদ খোকন, ইউসুফ আলী সরদার ও মাজেদ পরস্পর যোগসাজশে ফুলবাড়িয়া সিটি সুপার মার্কেট-২ এর মূল ভবনের নকশাবহির্ভূত অংশে দোকান বরাদ্দের ঘোষণা দেন। ঘোষণা শুনে ব্যবসায়ীরা সাঈদ খোকনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে ব্যবসায়ীরা কামরুল হাসান, হেলেনা আক্তার, আতিকুর রহমান স্বপন ও ওয়ালিদের কাছে যান। তারা বলেন, টাকা দেয়ার ব্যবস্থা করুন। আপনাদের দোকান বরাদ্দ দেয়া হবে। বিষয়টি আইনবহির্ভূত জেনে বাদী দেলোয়ার হোসেন দুলু আসামিদের দোকান বরাদ্দের প্রক্রিয়া বন্ধ করতে তৎপর হন। এরপর আসামিরা দেলোয়ারকে প্রাণনাশের হুমকি দেন।

২০১৭ সালের ২০ আগস্ট আসামি ইউসুফ আলী সরদার, আতিকুর রহমান স্বপন ও ওয়ালিদ বাদী দেলোয়ারকে বনানী ডেকে বলেন, দোকান বরাদ্দের ক্ষেত্রে বাধা দেয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ করো, নইলে খুব খারাপ হবে। তবে তিনি নিজের ও পরিবারের কথা চিন্তা করে তাদের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে সাহস পাননি। আসামিরা বিনা রসিদে কোটি কোটি টাকা নেন। পরে তার সঙ্গে পরামর্শের জন্য এলে তিনি তাদের প্রমাণ রাখার কথা বলেন। এরপর ভুক্তভোগীরা সাঈদ খোকনের অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন সময়ে ৩৪ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ টাকা জমা দেন।

মে  ১৭, ২০২৩ at ১৯:০৭:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ্র/ইর