দক্ষিণাঞ্চলের ছাত্র-ছাত্রীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২০২৩ সেশনের কলা, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র হচ্ছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। গত ৬ এবং ১২ মে মানবিক ও বিজ্ঞান অনুষদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আজ ১৩ মে অনুষ্ঠিত হবে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের পরীক্ষা। ঢাকার বাইরে যে সকল কেন্দ্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, সে সকল কেন্দ্রে ইউনিট প্রধান হিসেবে সংশ্লিষ্ট অনুষদের ডিনরা দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এ সকল দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উল্টো নজির স্থাপন করা হয়েছে।
ভিসি তার আজ্ঞাবহ এক জুনিয়র শিক্ষক এবং ডিনের দায়িত্বে না থাকা অন্য এক শিক্ষক কে ইউনিট প্রধান করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রের পরীক্ষা পরিচালনা করছেন। যা ডিনদের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর এবং লজ্জার।
ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত একটি সভায় ডিনরা এই অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন তুললে ভিসি তাদের প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে তার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। এভাবেই প্রতিটি ক্ষেত্রে দিনের পর দিন ভিসি তার একনায়কতান্ত্রিক আচরণ প্রতিষ্ঠা করে আসছেন।
তাই ভিসির এই একনায়কতান্ত্রিক ও হঠকারী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদস্বরূপ ৩ অনুষদের ডীন মহোদয়রা ভর্তি পরীক্ষার সমস্ত কার্যক্রম থেকে নিজেদেরকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এই বিষয়ে জানতে চাইলে এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন একজন ডিন। ভবিষ্যতে এই ঘটনা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি খারাপ উদাহরণ হয়ে থাকবে। এইরকম হাজার হাজার একাডেমিক এবং প্রশাসনিক অনিয়ম প্রতিষ্ঠা করে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছেন এই চতুর ভিসি।
ভিসির অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে অধিকাংশ শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারী এক বাক্যে বলেন, ভিসি অনেক চতুর লোক, মুখে বলেন এক, কাজে পুরোটাই উল্টো। তারা আরো বলেন, বর্তমান ভিসি দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ পেলে সেটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক হবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং বরিশালবাসীর জন্য। কারণ, এই চার বছরে উনি বিশ্ববিদ্যালয়কে কিছুই দিতে পারেনি। বাইরের লোকদের তোষামোদী ও তেলবাজি করে তিনি সময় পার করেছেন। মোটকথা, ভিসির উপর সবাই খুবই বিরক্ত।
মে ১৩, ২০২৩ at ১১:৩৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ্র/মেমহদ
