গোপালকান্দি মধ্যপাড়া জামে মসজিদের অজুখানা ভাংচুরের অভিযোগ

মতলব উত্তর উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের গোপালকান্দি মধ্যপাড়া বাইতুল আমান জামে মসজিদের অজুখানা ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মুসল্লিদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর মুসল্লিরা ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচার দাবি করে বিক্ষোভ করে।

অজুখানা ও প্রস্রাবখানা ভাঙ্গার বিষয়টি থানা পুলিশ জেনে মুসল্লিদের উত্তেজিত না হওয়ার অনুরোধ করেন। ঘটনাস্থল উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রমিজ উদ্দিন পরিদর্শন করেছেন।

কুয়েত সরকারের সোসাইটি ফর সোস্যাল এন্ড টেকনোলজিক্যাল সাপোর্ট- বাংলাদেশ অনুদানে নির্মিত সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের গোপালকান্দি মধ্যপাড়া বাইতুল আমান জামে মসজিদের জমির সীমানা নিয়ে বিরোধে অজুখানা অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার জন্য বৃহস্পতিবার (১১ মে) ভেঙ্গে ফেলে আবদুল জব্বার বেপারী। মসজিদের পাশেই আবদুল জব্বার বেপারী অজুখানা ও প্রস্রাবখানা  নির্মান করার উদ্যোগ নেন। এ নিয়ে মুসুল্লিদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।

আরো পড়ুন :
> শার্শায় যুবলীগ নেতা নাজমুল হাসানের গনসংযোগ
> চনপাড়ায় যৌথ বাহিনীর অভিযান ধারালো অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার- ১১

মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষ মো. খোকন বেপারী জানান, আবদুল জব্বার বেপারী মসজিদ কমিটির ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় মসজিদের আয়-ব্যয়ের হিসাব নিকাশের গড়মিল হওয়ায় তাকে কমিটি থেকে বাদ দিয়ে নতুন কমিটি গঠন করা হয়। এ নিয়ে তিনি রাগে অজুখানা ও প্রস্রাবখানা ভাংচুর করে।

আবদুল জব্বার বেপারী জানান, এ মসজিদের জমি আমার বাবা দান করেছে। মসজিদের পাশেই অজু ও প্রস্রাবখানা  নির্মিত হয়। প্রস্রাবখানার প্রস্রাব পাশের পুকুরের পানিতে সরাসরি গিয়ে পড়ে। এ পুকুরে গোসল করা সহ নিত্যদিনের কাজে পানি ব্যবহার করা হয়।

তাই মুসুল্লিদের সাথে আলোচনা করে প্রস্রাবখানা অন্যত্র পাকা করে করে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। তাই পুরোনো প্রস্রাবখানা ভেঙ্গে ফেলা হয়।

থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মহিউদ্দিন বলেন, ঘটনা শোনার পরপরই এসআই রমিজ উদ্দিনকে ঘটনাস্থলে প্রেরণ করা হয়। মুসুল্লিদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মে  ১২, ২০২৩ at ২১:১১:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মই/ইর